কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪, ০৮:২৫ এএম
আপডেট : ২৪ মে ২০২৪, ১০:২৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কী কারণে আল-আকসায় লুকিয়ে ছাগল নেওয়ার চেষ্টা তরুণীর

আল-আকসা মসজিদ। ছবি : সংগৃহীত
আল-আকসা মসজিদ। ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসার ধর্মীয় গুরুত্ব যেমন রয়েছে, তেমনি এটি ফিলিস্তিনি জনগণের সংস্কৃতি ও জাতীয়দতার প্রতীক। ইহুদি-খ্রিষ্টানদের কাছেও আল-আকসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই যুগ যুগ ধরে এটি হয়ে পড়েছে বিবাদের ইস্যু। ইহুদিরা নানা সময় নানা কৌশলে আকসা দখলের চেষ্টা চালিয়েছে, তবে সফল হয়নি।

ধর্মীয়ভাবে বিশ্বের সবচেয়ে স্পর্শকাতর স্থান হয়ে ওঠা আল-আকসায় সম্প্রতি অবাক করা এক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ছাগল নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন এক ইহুদি তরুণী। তিনি অন্তঃসত্ত্বার ভান করে তার জামার নিচে ছাগলটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। বুধবার (২২ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই তরুণী সেখানে প্রবেশের সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা ছাগলের ডাক শুনতে পান এবং তরুণীর জামার নিচে কিছু একটা নড়তে দেখেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও ছাগলটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তার আগেই দমবন্ধ হয়ে মারা যায় প্রাণীটি।

প্রশ্ন হলো, কেন ইহুদী তরুণী ছাগল নিয়ে আল-আকসায় প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন? সেই কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূলত, যুগ যুগ ধরে আল-আকসা দখলের যে চেষ্টা করে আসছে ইহুদিরা, ছাগল নিয়ে প্রবেশের চেষ্টাটা তারই অংশ।

ইহুদিদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পাসওভার। এই উৎসবের আগে উগ্রবাদী ইহুদিরা জেরুজালেম শহরের আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রাণী বলি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন। তাদের বিশ্বাস, এর মধ্য দিয়ে স্পর্শকাতর স্থাপনাটি তাদের পূর্ণ দখলে নেওয়াটা আরও সহজ হবে। তবে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা এভাবে প্রাণী বলি দেওয়ার অনুমতি দেন না।

কর্মকর্তারা মনে করেন, আল-আকসায় পশু বলি দেওয়ার অনুমতি দিলে আরও শত শত মানুষ একই কাজ করতে চাইবে। এভাবে স্থানটির পবিত্রতা রক্ষার যে নীতি আছে, সেটি লঙ্ঘন হবে। পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ এবং অন্যান্য দেশের পক্ষ থেকেও ইসরায়েল সরকারের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হবে।

আল-আকসা পৃথিবীর প্রাচীনতম মসজিদগুলোর একটি। মিরাজের রাতে এই মসজিদেই নামাজ আদায় করেছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মক্কায় হজ ও ওমরা পালনের আগে আল-আকসা ছিল মুসলিমদের কাছে প্রধান ধর্মীয় স্থান।

ইহুদিরা বিশ্বাস করে, আল-আকসাই ছিল তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় পবিত্র উপাসনালয়। তারা মনে করে, তিন হাজার বছর আগে রাজা সোলেমান এখানে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেছিল। যেটি ধ্বংস করেছিল ব্যাবিলনীয়রা। আর দ্বিতীয় উপাসনালয়টি ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান বাহিনী ধ্বংস করে দেয়। এখানে একটি খ্রিস্টান ব্যাসিলিকাও ছিল, যা একই সঙ্গে ধ্বংস হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১২ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

জুতা পরে জানাজার নামাজ পড়া কি জায়েজ?

প্রতিদিনের সাধারণ যে অভ্যাসেই কমে যাচ্ছে আপনার মোবাইলের আয়ু

যে গ্রামে বসবাস করলেই মিলবে ২৭ লাখ টাকা!

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষ

‘শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করবে সরকার’

অসুস্থ বিএনপি নেতা ডা. রফিকের খোঁজ নিতে বাসায় জোনায়েদ সাকি

আফগানদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে বাংলাদেশের সিরিজ হার

যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল ম্যাচ শেষে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৪

চট্টগ্রামে কনসার্টে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১

১০

চিহ্নিত ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া উচিত নয় : বিএনপি

১১

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে ইমন-সোহান

১২

এনসিপির ‘পলিসি ও রিসার্চ উইং’ গঠন, দায়িত্ব পেলেন যারা

১৩

নড়াইলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

১৪

‘তিন মাসের মধ্যে ৬ লেনের কাজ দৃশ্যমান হবে’

১৫

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

১৬

ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে বিপদে বাংলাদেশ

১৭

প্রবীণদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে : টুকু

১৮

শুধু বক্তব্যে নয়, বাস্তব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিএনপি মানুষের পাশে রয়েছে : আনোয়ারুজ্জামান

১৯

গুম-খুনে জড়িতদের সঙ্গে আপস নেই : আখতার হোসেন

২০
X