রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অবশেষে পদত্যাগ করলেন জাস্টিন ট্রুডো

জাস্টিন ট্রুডো। ছবি : সংগৃহীত
জাস্টিন ট্রুডো। ছবি : সংগৃহীত

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগ করেছেন। আজ (সোমবার) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় নিজ বাসভবন রিডো কটেজে এক সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। খবর বিবিসির।

পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ট্রুডো বলেন, আমি মনে করি কানাডার জনগণ পরবর্তী নির্বাচনে প্রকৃত পছন্দের নেতা খুঁজে বের করার দাবিদার।

তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে, যদি আমাকে ‘অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ’ লড়তে হয় তাহলে কানাডিয়ানদের জন্য ব্যালটে সেরা বিকল্প হতে পারবেন না। আমি অনেক ভেবেছি এবং আমার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমার পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।

জনগণের উদ্দেশ্যে ট্রুডো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমি আমার দেশ এবং আপনাদের জন্য লড়েছি। আমি দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছি। আমি সবসময় আমার দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, তবে এখন দেশ এবং সময় পাল্টেছে। আমি মনে করি ‘নতুন সূচনা করার সময়’ এসেছে। তিনি বলেন, আশা করি আমার পদত্যাগ দেশের রাজনীতিতে তৈরি হওয়া উত্তাপ কমিয়ে আনবে। এমন একটি সরকার আসবে যারা কানাডার জনগণের সমস্যাগুলোর দিকে খেয়াল রাখবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক চাপের মুখে ছিলেন ট্রুডো। দেশের রাজনীতিতে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বর্তমান সময়ে তার জনপ্রিয়তা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। বিরোধীরা তো বটেই, তার নিজ দলের মধ্য থেকেও তার পদত্যাগের দাবি উঠছিল।

এরআগে কানাডার প্রধান সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইল জানিয়েছিল, সোমবারের মধ্যেই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করতে পারেন ট্রুডো।

ট্রুডো ২০১৩ সালে কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন কানাডার লিবারেল দল ছিল গভীর সংকটে এবং প্রথমবারের মতো হাউস অব কমন্সে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল। তার নেতৃত্বে দলটি পুনরুজ্জীবিত হলেও, বর্তমান সময়ে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে।

তবে ট্রুডোর পদত্যাগের পর লিবারেল পার্টি রাজনৈতিক মঞ্চে স্থায়ী নেতৃত্ববিহীন অবস্থায় চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত যখন নির্বাচনের আগে জরিপগুলোও বলছে, আগামী অক্টোবরের নির্বাচনে লিবারেলরা রক্ষণশীলদের কাছে ব্যাপকভাবে পরাজিত হতে পারে। এর ফলে নতুন নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যাতে তিনি অন্তর্বর্তী নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক কিনা। এক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এভাবে, ট্রুডোর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কানাডার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে। যা লিবারেল পার্টির ভবিষ্যতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত: জোনায়েদ সাকি

এনসিপির কর্মকাণ্ডে ফিরছেন সারোয়ার তুষার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার 

সাংবাদিকের বাড়িতে চুরি, স্বর্ণালংকারসহ ৫ লাখ টাকার ক্ষতি

৪৫ বছর ভাত না খেয়েও সুস্থ ও সবল বিপ্লব

চেতনানাশক খাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতি

রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা

প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে ছাত্রদলের নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে চাকরি খোয়ালেন বেরোবি সমন্বয়ক

হাওর ও চরাঞ্চলের শিক্ষক বদলির তদবির আসে ওপর থেকে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১০

জয় স্যুটকেস ভরে টাকা নিয়ে গেছে : হাবিব-উন-নবী সোহেল

১১

২৫ বছর ধরে বাঁশির মায়ায় আটকে আছে শফিকুলের জীবন

১২

একাত্তরেও আ.লীগ পালিয়েছে, এবারও পালিয়ে গেছে : টুকু

১৩

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু, শেষ হচ্ছে কবে

১৪

তিন দিনের মধ্যে সাদাপাথর ফেরত না দিলে ব্যবস্থা

১৫

উগান্ডার সঙ্গে ট্রাম্পের চুক্তি, জানা গেল নেপথ্য কারণ

১৬

ইসহাক দারের সঙ্গে কী আলোচনা হলো বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির

১৭

মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু রোববার : রাকসু ট্রেজারার

১৮

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৯

পাথরের জন্য মাইকিং, ডেডলাইন ২৬ আগস্ট

২০
X