ডুবে যাওয়ার ৫৫ বছর পর একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞান সংস্থা সাগরের নিচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমভি নুনগাহ নামের একটি জাহাজ ৫৫ বছর আগে ডুবে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেই জাহাজের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সাগর তলের ভিডিও ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞান সংস্থা।
ইস্পাত বোঝাই করে এমভি নুনগাহ নামের এ জাহাজটি ১৯৬৯ সালের ২৫ আগস্ট নিউ সাউথ ওয়েলস উপকূলে ঝোড়ো আবহাওয়ার কবলে পড়ে। এ সময় এটি বিপৎসংকেত পাঠানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে গভীর সমুদ্রে ডুবে যায়। তখন জাহাজটিতে ২৬ জন ক্রুরু সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে তখন জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এ ছাড়া ব্যাপক অনুসন্ধানের পর মাত্র একজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ ঘটনার পরে ১২ বছরে মধ্যে দুটি লাইফবোট থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া সাগরে ভাসমান অবস্থায় আরও তিনজনের দেহাবশেষের সন্ধান মিলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পরের ১২ বছরে আলাদা দুটি লাইফ বোট থেকে দুজনের মরদেহ এবং সাগরে কাঠের তক্তায় আটকে থাকা অবস্থায় আরও তিনজনের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছর আগে স্থানীয় লোকজন সিডনি থেকে ৪৬০ কিলোমিটার উত্তরে সাউথ ওয়েস্ট রকস উপকূলে একটি ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। পরে এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। তখন থেকে এটিকে নানগাহর ধ্বংসাবশেষ বলে ধারণা করা হলেও প্রযুক্তির অভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এরপর গত মাসে কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিএসআইআরও) মালিকানাধীন একটি উচ্চপ্রযুক্তির জাহাজকে অনুসন্ধানের জন্য পাঠানো হয়। জাহাজটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ মিটার নিচে ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। জাহাজটির বড় অংশই অক্ষত রয়েছে।
সিএসআইআরও জানিয়েছে, উপকূলে পাওয়া ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে নুনগাহর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যের মিল রয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, দ্য সিডনি প্রজেক্ট নিখোঁজ জাহাজের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ ও তথ্য সংগ্রহের কাজ করে। তারা উপকূল থেকে আরও তথ্য সংগ্রহ করবে। ফলে জাহাজটি ডুবে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে।