পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপার শুরু হয়েছে দেশটিতে।
এ রায় ঘিরে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর। তিনি বলেছেন, মামলার রায়টি অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে ঘোষণা করা হয়েছে। কেন যেন মনে হচ্ছে বিচারক রায় আগেই লিখে রেখেছিলেন। অপেক্ষা করছিলেন আজকের সকালের!
দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। হামিদ মীর বলেন, তোশাখানা মামলাটি অত্যন্ত স্পষ্ট, তবে ট্রায়াল কোর্ট ও অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ হুমায়ুন দিলাওয়ার যেভাবে মামলাটি পরিচালনা করেছেন তা অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করবে।
তিনি বলেন, ‘ইমরান খান ও তার আইনজীবীরা মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তর করতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মনে হচ্ছে বিচারক রায় আগেই লিখে রেখেছিলেন।’
হামিদ মীর আরও বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হবে এবং ইমরান খানের পরিত্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে তোশাখানা মামলায় তিন বছরের সাজা দেওয়ার পর পর ইমরান খানকে লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ। সেই সঙ্গে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ুন দিলাওয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় উপহার তছরুপের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। যদিও শুরু থেকে ইমরান খান তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন : ইমরান খানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
তোশাখানা মামলা
ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই তোশাখানা দুর্নীতি মামলা দায়ের করে ইসিপি। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তোশাখানা থেকে প্রাপ্ত উপহারের তথ্য ইসিপির কাছে ইচ্ছে করে গোপন করেছেন ইমরান। সাধারণত বিদেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের দেওয়া উপহার তোশাখানায় রাখা হয়। পরে এ মামলায় গত ১০ মে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন