কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা

কোনো পক্ষই বিজয়ী হয়নি, উত্তেজনা আরও বেড়েছে

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের আন্দোলনের এক মুহূর্তে। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের আন্দোলনের এক মুহূর্তে। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ সমাবেশ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের বিক্ষোভ প্রত্যাহারের পরও দেশটিতে উত্তেজনা কমেনি বরং পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, পাকিস্তানের এই আন্দোলনে কোনো পক্ষই বিজয়ী হয়নি। সরকারের দমনপীড়ন এবং পিটিআই’র পিছু হটা উভয়ই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে আরও তীব্র করেছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানে রাজনৈতিক আন্দোলন নিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলায় সাহসিকতা দেখিয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত দমনপীড়ন এবং ব্যাপক গ্রেপ্তারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বিশেষত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত দমনপীড়ন করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।

কারাবন্দি ইমরান খান তার সমর্থকদের প্রতি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তার দলের প্রতিবাদে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ এবং দমনপীড়ন পিটিআই ও সরকারের মধ্যে সম্পর্ককে আরও তিক্ত করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি পাকিস্তানকে আরও গভীর সংকটে নিয়ে যেতে পারে। একদিকে পিটিআই ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর মধ্যে তীব্র বিরোধ, অন্যদিকে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং দমনপীড়ন দেশের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দুদলের প্রতি সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় না পৌঁছালে দেশের অস্থিতিশীলতা আরও বাড়তে পারে।

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি মন্তব্য করেছেন, এই ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলন পাকিস্তানের জন্য একটি বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। আমাদের দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় এখনই প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ এবং রাজনৈতিক সমঝোতা।

সর্বশেষ পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমঝোতা ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমিত না হলে দেশটি আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আরাকান আর্মির মাদক সন্ত্রাসে বিপর্যস্ত দেশ

বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজ চুরি, ব্যাখ্যা দিল কর্তৃপক্ষ

যুবদল নেতার শতাধিক ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ

প্রশিক্ষিত ২ কুকুর নিলামে বিক্রি

শিশুর মায়ের কোলে থাকার মতোই সনাতনীরা নিরাপদ থাকবে : কাজী আলাউদ্দীন

লক্ষ্মীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২

দুই আইন পাসের উদ্যোগে সরকারের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে : বিএনপি

মনোনয়ন নিয়ে যে কৌশলে এগোচ্ছে জামায়াতে ইসলামী

হোয়াটসঅ্যাপে এই ৪ ভুল করছেন? স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে পারে আপনার অ্যাকাউন্ট

কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিএনপির দুই দিনব্যাপী হেলথ ক্যাম্প।

১০

পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩০

১১

বাংলাদেশের অনাগ্রহ, পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে ভারতের রপ্তানিকারকরা

১২

নির্বাচনী ইশতেহারে নারী ও শিশু অধিকার অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতে সংলাপ

১৩

কাজেই আসছে না ৫৭ লাখ টাকার সেতু

১৪

কমলো সিলেট-ঢাকা রুটের বিমান ভাড়া

১৫

খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৬

কারেন্ট পোকার আক্রমণ, রোপা আমনে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ

১৭

রাবির দেয়ালগুলোয় ঝুলছে মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র

১৮

বেনাপোলে মফিকুল হাসান তৃপ্তির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৯

নির্বাচন দিতে গড়িমসি করলে যথোপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে : মিন্টু

২০
X