কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাইডেনের দুই কলঙ্ক

জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত
জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে দুটি বিষয়— রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা যুদ্ধ। এই দুটি বিষয় বাইডেনের নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনার মুখে ফেলে। একইসঙ্গে তার জনপ্রিয়তাকেও ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে। এরপর বাইডেন ইউক্রেনকে বড় ধরনের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন। তবে এই দীর্ঘ যুদ্ধের মধ্যে বাইডেন প্রশাসন কার্যকরীভাবে কোনও শান্তি চুক্তি বা মধ্যস্থতা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই যুদ্ধের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। বাইডেনের নেতৃত্বে পশ্চিমা শক্তিগুলো ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদান করলেও, যুদ্ধের তীব্রতা কমানো বা শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার কূটনীতি সফল হয়নি। বহু দেশ ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাইডেন যদি আরও সক্রিয়ভাবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতেন, তবে যুদ্ধের তীব্রতা কমানো সম্ভব হতো।

ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন

বাইডেনের আরেকটি বড় বিতর্কিত পদক্ষেপ হলো গাজা যুদ্ধ। ২০২৩ সালে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাতের পর থেকে বাইডেন প্রশাসনের ইসরায়েলপ্রীতি ব্যাপকভাবে বাড়ে। বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর অবরোধ এবং সহিংসতা বাড়ানোর বিষয়টিকে বৈধতা দেয়। এ অবস্থান বিশ্বের বহু দেশে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে গাজায় হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনির মৃত্যু ঘটলেও, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে ব্যাপক অস্ত্র সহায়তা দিয়ে যায়। এতে বাইডেনের ইসরায়েল পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বিশ্বে তার গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পেয়েছে।

এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ২০২১ সালে বাইডেন নেন। এ পরিস্থিতিতে আমেরিকার নাগরিক এবং আফগান সহযোগীদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাইডেনের শাসন কঠিন হয়ে পড়ে। বাইডেনের আমলে মার্কিন অর্থনীতি বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করে। করোনা মহামারির পর মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও বাইডেন কিছু পদক্ষেপ নেন, তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনি সফল হননি।

বাইডেনের শাসনকালে অবৈধ অভিবাসন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। মার্কিন সীমান্তে অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বাইডেনের সীমান্ত নীতির কারণে তাকে প্রচুর সমালোচনা করা হয়। ৭৮ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে বাইডেনকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে তার শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যাত্রীদের সুসংবাদ দিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

ব্যাংক কর্মীদের উৎসাহ বোনাস নিয়ে নতুন নির্দেশনা

গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতার খোঁজ নিলেন জামায়াত নেতারা

শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

চিকিৎসাধীন অবস্থায় চবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

‘বিএনপির নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে টাকা ফেরত দিতেই হবে’

ময়লার গাড়িতে সরকারি ওষুধ পাচারের সময় দুই কর্মী আটক

রাশিয়ায় সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহত সব আরোহী

শারীরিক প্রতিবন্ধী আলিফের পাশে চট্টগ্রামের ডিসি

‘ইউরোফাইটার টাইফুন’ যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

১০

মসজিদের ভেতর বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১১

বহিষ্কৃতদের প্রত্যাবর্তনে ছন্দে ফিরছে সিলেট বিএনপি

১২

অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা কলেজের বাস চলাচল বন্ধ

১৩

বিসিএস পরীক্ষার নম্বর বণ্টনে পরিবর্তন

১৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন

১৫

৩ শর্তে জাতীয় সরকার গঠন করতে চান জামায়াত আমির

১৬

খুলনা-২ / বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার মাস পেরোলেও ঐক্যবদ্ধ প্রচারকাজ শুরু হয়নি

১৭

দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণদের ঐক্যের ডাক

১৮

গুলশানের একটি সড়কের নতুন নাম ‘ফেলানী এভিনিউ’

১৯

এসএসসি পাসেই বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি, পাবেন যেসব সুবিধা

২০
X