রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাইডেনের দুই কলঙ্ক

জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত
জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে দুটি বিষয়— রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা যুদ্ধ। এই দুটি বিষয় বাইডেনের নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনার মুখে ফেলে। একইসঙ্গে তার জনপ্রিয়তাকেও ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে। এরপর বাইডেন ইউক্রেনকে বড় ধরনের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন। তবে এই দীর্ঘ যুদ্ধের মধ্যে বাইডেন প্রশাসন কার্যকরীভাবে কোনও শান্তি চুক্তি বা মধ্যস্থতা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই যুদ্ধের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। বাইডেনের নেতৃত্বে পশ্চিমা শক্তিগুলো ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদান করলেও, যুদ্ধের তীব্রতা কমানো বা শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার কূটনীতি সফল হয়নি। বহু দেশ ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাইডেন যদি আরও সক্রিয়ভাবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতেন, তবে যুদ্ধের তীব্রতা কমানো সম্ভব হতো।

ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন

বাইডেনের আরেকটি বড় বিতর্কিত পদক্ষেপ হলো গাজা যুদ্ধ। ২০২৩ সালে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাতের পর থেকে বাইডেন প্রশাসনের ইসরায়েলপ্রীতি ব্যাপকভাবে বাড়ে। বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর অবরোধ এবং সহিংসতা বাড়ানোর বিষয়টিকে বৈধতা দেয়। এ অবস্থান বিশ্বের বহু দেশে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে গাজায় হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনির মৃত্যু ঘটলেও, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে ব্যাপক অস্ত্র সহায়তা দিয়ে যায়। এতে বাইডেনের ইসরায়েল পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বিশ্বে তার গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পেয়েছে।

এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ২০২১ সালে বাইডেন নেন। এ পরিস্থিতিতে আমেরিকার নাগরিক এবং আফগান সহযোগীদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাইডেনের শাসন কঠিন হয়ে পড়ে। বাইডেনের আমলে মার্কিন অর্থনীতি বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করে। করোনা মহামারির পর মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও বাইডেন কিছু পদক্ষেপ নেন, তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনি সফল হননি।

বাইডেনের শাসনকালে অবৈধ অভিবাসন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। মার্কিন সীমান্তে অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বাইডেনের সীমান্ত নীতির কারণে তাকে প্রচুর সমালোচনা করা হয়। ৭৮ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে বাইডেনকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে তার শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই শহীদের ভাইকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাত

নরসিংদীতে ‘আনোয়ারা সুলতানা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

হান্নান মাসউদকে হুমকি দেওয়া যুবক গ্রেপ্তার

৭ দিন বিদ্যুৎ বিল আদায় বন্ধ থাকবে যে এলাকায়

শিশু আয়েশা ও দীপু হত্যার প্রতিবাদে আলোক প্রজ্বলন

‘আমি গিয়ে দেখি ওরা আমার ছেলেকে কোপাচ্ছে’

চিংড়ি চাষিকে কুপিয়ে হত্যা, নারীসহ গ্রেপ্তার ৯

বাংলাদেশকে ভারতের আধিপত্য থেকে মুক্ত করবো : হান্নান মাসউদ

পাখিশিকারিদের সামাজিকভাবে প্রতিহতের আহ্বান

ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার চেয়ে এন্টি ফ্যাসিস্ট স্কোয়াডের আলটিমেটাম

১০

জামায়াত আশ্রয় না দিলে রাস্তায় পড়ে থাকতে হতো : মেজর রঞ্জন

১১

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সুপার ফাইভ কমিটি ঘোষণা

১২

লক্ষ্মীপুরে মাটির নিচে মিলল হালিশহর থানার লুটের পিস্তল

১৩

ঘেরের জমি নিয়ে বিরোধে খুন হন সাংবাদিক মিলন, ধারণা পুলিশের

১৪

কোস্ট গার্ডের অভিযানে আটক ৬

১৫

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন হবে ঐতিহাসিক : ইশরাক

১৬

শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আরও সতর্ক হতে হবে : রফিক সিকদার

১৭

ঢাবিতে মুজিব হলের নাম মুছে লেখা হলো ‘শহীদ ওসমান হাদি’ হল

১৮

সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ শুরু

১৯

বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া

২০
X