মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিআইএ এবং অন্যান্য মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা থেকে ১,২০০ কর্মী কমানোর পরিকল্পনা করেছেন। এই কাটছাঁট কয়েক বছর ধরে করা হবে। তবে সবাইকে ছাঁটাই করা হবে না। এর পরিবর্তে নিয়োগ হ্রাসের মাধ্যমে আংশিক লক্ষ্য সম্পন্ন হবে এবং কিছু অযোগ্যদের চাকরিচ্যুত করে কর্মী কমানো হবে।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) এবং অন্যান্য প্রধান মার্কিন গুপ্তচর ইউনিটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী কমানোর পরিকল্পনা করছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাগুলোর আকার ছোট করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার (২ মে) সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, সিআইএ ১,২০০ পদ ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়া মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অন্যান্য শাখা থেকে আরও হাজার হাজার পদ ছাঁটাই করা হবে। পদ ছাঁটাই বলতে সেসব পদে কর্মরতদের অবসর বা প্রেশনে যাওয়ার পর আর নতুন নিয়োগ না দেওয়াকে বুঝানো হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সদস্য সংখ্যা কমানো হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কংগ্রেস সদস্যদের পরিকল্পিত ছাঁটাই সম্পর্কে জানানো হয়েছে। যা বেশ কয়েক বছর ধরে চলবে।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এজেন্সির একজন মুখপাত্র বিস্তারিত নিশ্চিত করেননি। তবে বলেছেন, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকারগুলোর সঙ্গে সিআইএ কর্মীদের কার্যক্রম সমন্বয় করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এই পদক্ষেপগুলো এজেন্সিতে নতুন শক্তি সঞ্চার করার, উদীয়মানদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করার এবং সিআইএ-কে তার মিশন পূরণে আরও উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সামগ্রিক কৌশলের অংশ।
ট্রাম্পের নিযুক্ত র্যাটক্লিফ জানুয়ারিতে সিআইএ পরিচালক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি পূর্বে আইন প্রণেতাদের বলেছিলেন, তার নেতৃত্বে সংস্থাটি অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ, বস্তুনিষ্ঠ কাজ করবে। রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত পক্ষপাতকে সংস্থার বিচার-বিবেচনাকে ম্লান করতে বা গোয়েন্দাদের কাজ সংক্রামিত করতে দেবেন না।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের প্রতিটি কোণে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করব। বিশেষ করে মানবিক গোয়েন্দা তথ্য, যতই অন্ধকার বা কঠিন হোক না কেন এবং রাষ্ট্রপতির নির্দেশে গোপন পদক্ষেপ নেব। এমন জায়গায় যাব যেখানে অন্য কেউ যেতে পারবে না এবং এমন কাজ করব যা অন্য কেউ করতে পারবে না।
মার্চ মাসে, সিআইএ ঘোষণা করেছিল যে ট্রাম্পের সরকারী কর্মী সংখ্যা হ্রাস নীতির অংশ হিসেবে তারা অনির্দিষ্ট সংখ্যক জুনিয়র অফিসারকে বরখাস্ত করবে।
এজেন্সির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যেসব অফিসারের আচরণগত সমস্যা রয়েছে বা যারা গোয়েন্দা কাজের জন্য উপযুক্ত নয় বলে বিবেচিত হয়, তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে। কারণ, সবাই এই কাজের চাপ সামলাতে সক্ষম হয় না।
ফেব্রুয়ারিতে সিআইএ কিছু কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতের প্রস্তাবও দিয়েছিল। তখন কতজন কর্মচারী বিদায় নিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।
মন্তব্য করুন