ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের মধ্যে সাংবাদিক মেহেদি হাসানের টিভি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসি। প্রগতিশীল এই টিভি উপস্থাপককে ইসরায়েলি নীতির অন্যতম কড়া সমালোচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নিউজ ওয়েবসাইট সেমাফোর সবার আগে মেহেদি হাসানের অনুষ্ঠান বন্ধের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। সেমাফোর জানিয়েছে, মেহেদি হাসান শো-এর জায়গায় উপস্থাপক আয়মান মোহেলদিনের অনুষ্ঠান বাড়িয়ে দুই ঘণ্টা করা হবে। আরব আমেরিকান মোহেলদিনও ইসরায়েলি সরকারের সমালোচক। আর মেহেদি হাসানকে বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করানোর ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি।
ফিলিস্তিনপন্থি অধিকারকর্মীরা বলছেন, গাজা যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের সমালোচনা করে এমন ব্যক্তিদের ওপর দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে সাংবাদিক মেহেদি হাসানকে সরিয়ে দিয়েছে এমএসএনবিসি। হামাসের হামলার জবাবে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বামপন্থি মার্কিন কংগ্রেসম্যান রো খান্না বলেছেন, গাজা যুদ্ধের সময়ে এই টিভি অনুষ্ঠান বন্ধের কারণে এমএসএনবিসি সম্পর্কে মানুষের মাঝে বাজে ধারণার সৃষ্টি হবে। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, এমএসএনবিসি হলো বাকস্বাধীনতার বড় সমর্থক। তাই এই সিদ্ধান্তের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে জনসাধারণের কাছে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
ফিলিস্তিনি আমেরিকান মানবাধিকার আইনজীবী নুরা ইরাকাত বলেন, অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন এই অনুষ্ঠান বেশি প্রয়োজন। তাকে আরও ক্ষমতা দেওয়া উচিত। তার মুখ বন্ধ করা উচিত নয়।
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও ইসরায়েলের সমালোচনা করার জন্য মার্কিন সাংবাদিকদের শাস্তি দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ২০১৮ সালে ফিলিস্তিনি অধিকারের সমর্থনে জাতিসংঘের এক সভায় বক্তব্য দেওয়ায় সাংবাদিক মার্ক ল্যামন্ট হিলকে বরখাস্ত করে সিএনএন। ল্যামন্ট হিল বর্তমানে আলজাজিরায় কাজ করছেন। ২০২১ সালে ফিলিস্তিনি অধিকারের সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিলে এক তরুণ প্রতিবেদককে বরখাস্ত করে বার্তা সংস্থা এপি।
মন্তব্য করুন