কোমল পানীয়, চুইংগামসহ অন্যান্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত কৃত্রিম মিষ্টি ‘অ্যাসপার্টাম’-কে ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ঘোষণা করতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সাধারণত বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে কৃত্রিম মিষ্টির স্বাদ যোগ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে ‘অ্যাসপার্টাম’ নামের পদার্থ। এবার প্রথমবারের মতো এই পদার্থটিকে কার্সিনোজেন হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে চলেছে ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি)। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাতে রয়টার্স এ সংবাদ নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্স জানায়, চলতি মাসের শুরুতে আইএআরসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও সংস্থাটি খাদ্যে ব্যবহৃত পদার্থ নিয়ে বিবিধ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এসব নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের খাদ্যের উপাদান পর্যন্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। বাজারেও পড়েছে এর বড় প্রভাব। ধারণা করা হচ্ছে জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা আসবে।
‘অ্যাসপার্টাম’ নামের এ কৃত্রিম মিষ্টি কোকাকোলার ডায়েট সোডা থেকে শুরু করে মার্সের এক্সট্রা চুইংগাম এবং স্ন্যাপেলের কোমল পানীয় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এবার এই পদার্থটিকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী আখ্যা দিতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
রয়টার্স জানায়, খাদ্য ও পানীয় শিল্পের পণ্যগুলোতে সাধারণত অ্যাসপার্টেম, স্টিভিয়া ও স্যাকারিনের মতো উপাদান যোগ করা হয়। অ্যাসপার্টাম সুক্রোজের চেয়ে ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি।
সাধারণত খাবার ও পানীয়তে চিনির বিকল্প হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। ডব্লিউএইচও বলছে, চিনির বিকল্প হিসেবে মানুষের কৃত্রিম মিষ্টি গ্রহণ খুব একটা সুবিধাজনক নয়।
মন্তব্য করুন