জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত ও ২৫ জন সেনা আহত হয়েছেন। এ হামলার পরপর স্বাভাবিকভাবে ইরানের দিকে অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করেছে ওয়াশিংটন। তবে এ হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান। ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, আমরা আগেও বলেছি এই অঞ্চলের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার জবাব দিচ্ছে। তারা ইরানের নির্দেশে কাজ করে না। এসব গোষ্ঠী তাদের নিজস্ব নীতি ও অগ্রাধিকারের পাশাপাশি তাদের দেশ ও জনগণের স্বার্থের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় ও কাজ করে।
কানানি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতা পাল্টে দিতে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্যে এসব হামলায় ইরানকে জড়ানো হয়। ইসরায়েলসহ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে এসব করা হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশনও এক বিবৃতিতে এ হামলার সঙ্গে তেহরানের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে। এ অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী ও প্রতিরোধ জোটের মধ্যে সংঘাতের জেরে এই হামলা হয়েছে।
ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি যৌথ সংগঠন হলো ইসলামিক প্রতিরোধ জোট। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এসব গোষ্ঠী ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে আসছে তারা। জর্ডানে হামলার দায়ও স্বীকার করেছে জোটটি।
রোববার সিরিয়ার সীমান্তবর্তী জর্ডানে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত ও ২৫ জন সেনা আহত হয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হলে এই প্রথম এ অঞ্চলে কোনো মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরান-সমর্থিত কট্টর জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের যথাসময়ে ও মানানসই উপায়ে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন