ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে আগেই জানত যুক্তরাষ্ট্র। তবে তা তারা প্রকাশ করেনি। আবার ইসরায়েলকে এ কাজে সমর্থনও দেয়নি। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো এ ধরনের খবর প্রকাশ করছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির ইসফাহান শহরে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সে সঙ্গে ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার খবরও দেয় ইরান। পরে অবশ্য সেগুলো ইসরায়েলের ছিল কি না সে ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে।
হামলার পর সিএনএন, এনবিসিসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের আগাম তথ্যপ্রাপ্তির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। তাদের উদ্ধৃত করে পরে বিবিসি, দ্য ইকোনমিক টাইমস, এএফপি সংবাদ প্রকাশ করে।
ওইসব প্রতিবেদনে বলা হয়, নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, ইসরায়েল তাদের হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছিল। বৃহস্পতিবারই বিস্তারিত জানতে পারে মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে এ হামলায় সমর্থন দেয়নি।
ওই মার্কিন কর্মকর্তার ভাষ্য ছিল, ‘আমরা কোনো প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করিনি।’
এর আগেও ইসরায়েলকে শান্ত থাকতে বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত শনিবার ইসরায়েলে নজিরবিহীনভাবে ইরানের সরাসরি হামলার পর উত্তেজনা এড়ানোর পরামর্শ দেয় পশ্চিমা বিশ্ব।
এদিকে ইসরায়েলের মাটিতে ইরানের হামলার জবাবে তেলআবিব যদি পাল্টা কোনো হামলা চালায় তবে তার শক্ত জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইরান। দেশটির শীর্ষ নেতারা একের পর হুংকার দিচ্ছিলেন।
কিন্তু শুক্রবারের হামলার পর ইরানকে অতটা উত্তেজিত মনে হচ্ছে না। ইরানি কর্মকর্তা বলছেন, কেবল কয়েকটি ড্রোন হামলার চেষ্টা করে। তবে সবকটি আকাশেই ধ্বংস করে ইরানের যোদ্ধারা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকে আরও বিস্তৃত আকার দেওয়ার সূচনা করল তেলআবিব। এখন ইরান কীভাবে এর পাল্টা জবাব দেবে সেটিই ধারণা করার চেষ্ট চলছে।
মন্তব্য করুন