দেশজুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্য যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় সেলিব্রেটি বা তারকা প্রার্থীর বেশিসংখ্যক অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছেন অভিনয়, সংগীত ও ক্রীড়াঙ্গনের তারকা। তাদের অনেকে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
কেউ বা অন্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। তবে যেসব তারকা নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন, তারা জয়ের ব্যাপারে অনেকটা নির্ভার।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন চলচ্চিত্র তারকা ফেরদৌস আহমেদ। তিনি ঢাকা-১০ আসন থেকে লড়ছেন। এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-১ থেকে লড়ছেন ক্রিকেট তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ ছাড়া নড়াইল-২ আসন থেকে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও মানিকগঞ্জ-২ আসনে সংগীত শিল্পী মমতাজ।
এ ছাড়া নৌকার মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। পাবনা-২ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম থেকে প্রার্থী হয়ে লড়ছেন সংগীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনী। বরিশাল-২ আসন থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন নকুল কুমার বিশ্বাস।
রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন ঢাকা-১০। ঢাকার ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান, হাজারীবাগ এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন বিভিন্ন দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। চালাচ্ছেন গণসংযোগ। চাইছেন ভোট। তবে ঢাকা-১০ আসনে নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা একেবারে নেই বললেই চলে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার গণসংযোগেই নির্বাচনের আমেজ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া পোস্টার, হ্যান্ডবিল এবং অন্যান্য প্রচার কার্যক্রমেও একক আধিপত্য বজায় রেখেছে নৌকা। অবশ্য বেশকিছু জায়গায় অবস্থান রয়েছে জাতীয় পার্টির। এই আসনে নৌকা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় চিত্রনায়ক ফেরদৌসের বিজয় অনেকটা নিশ্চিত। ঢাকা-১০ আসনের আওতাধীন এলাকায় গণসংযোগে একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন নৌকার ফেরদৌস আহমেদ। প্রতিদিনই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা-১০ আসনের আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যাচ্ছেন তিনি। অন্যদের তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।
ফেরদৌস আহমেদ নির্বাচনী প্রচার ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে কালবেলাকে বলেন, নির্বাচনের মাঠে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উৎসবমুখর পরিবেশে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আচরণবিধি মেনে শেষ সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাব। জয়ের বিকল্প কোনো কিছু নেই। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ নৌকা মার্কা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী কে এম শামসুল আলম আম প্রতীক, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মনোনীত প্রার্থী মো. বাহারানে সুলতান বাহার টেলিভিশন প্রতীক, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত প্রার্থী শাহরিয়ার ইফতেখার ছড়ি প্রতীক এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হাজি মো. শাহজাহান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
মাগুরা-১ থেকে লড়ছেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটের অলরাউন্ডার প্রথমবারের মতো রাজনীতির মাঠে নেমেও এগিয়ে আছেন। নৌকার প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে তার আসনে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। মাগুরা সদর-শ্রীপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত মাগুরা-১ আসন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তিনি ভোর থেকে গভীর রাত অবধি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন বয়সী মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং দোয়া চান। পাশাপাশি নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। মানুষ তাকে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে ও গলায় মালা পরিয়ে বরণ করে নেন। সাকিব আল হাসান ভোটারদের মাঝে প্রচারপত্র বিলি করেন।
ভায়না শান্তিবাগ মাঠে সাকিব আল হাসান তার নির্বাচনী প্রচারে বলেন, আশা করছি আগামী ৭ জানুয়ারি আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে নির্বাচনকে স্বার্থক করে তুলবেন। আমি বিজয়ী হলে সবার কথা শুনব। সবার পাশে থেকে সম্মিলিতভাবে মাগুরাকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে যাব, যা দেশের মধ্যে মডেল হবে। আমার প্রাণপ্রিয় মাগুরার এই জনপদকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে।
সাকিব আল হাসানের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হচ্ছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে সিরাজুস সায়েফিন সাইফ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) টেলিভিশন প্রতীকে কে এম মোতাসিম বিল্লা, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে সঞ্জয় রায় রনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। এই আসনে জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী থাকলেও জনপ্রিয়তার বিচারে মাশরাফীর তুলনায় পিছিয়ে আছেন তারা। ফলে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার কারণে এই আসনে নৌকার বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত। পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও মাশরাফীর সঙ্গে রয়েছেন। গত ৫ বছরে স্থানীয়দের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি। ক্রিকেটার মাশরাফী প্রতিদিনই গণসংযোগে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন।
এই আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনিরুল ইসলাম, গণফ্রন্টের লতিফুর রহমান ও ইসরঅমী ঐক্যজোটের মাহবুবুর রহমান।
মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর-সদরের আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় একাধিক বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে উপেক্ষা করে এখনো এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।
আসনটিতে অন্যদের পাশাপাশি নৌকার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগেরই দলীয় বিদ্রোহী চার স্বতন্ত্র প্রার্থী। ফলে এখানে প্রচার-প্রচারণায় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় বিদ্রোহীরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সফিউল আরেফিন (মোড়া প্রতীক), সিংগাইর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান (কেটলি প্রতীক), কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাহাবুদ্দিন আহমেদ (ঈগল প্রতীক) এবং জেলা আওয়ামী লীগের প্রথমবারের মতো কোষাধ্যক্ষ পদ পাওয়া দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু (ট্রাক প্রতীক)।
এ আসনের বিভিন্ন এলাকার ঘুরে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখনো তারা বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকেই এগিয়ে রাখছেন। তবে নৌকার সঙ্গে সামগ্রিক লড়াইয়ের বিষয়টি এখনো সুস্পষ্ট নয়। হরিরামপুর উপজেলার রাজনৈতিক নেতারাসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজনের ধারণা, এ উপজেলায় নৌকার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমুখী। ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলার আওয়ামী লীগের একটি অংশ সরাসরি নৌকার বিরোধী করায় ভোটের মাঠ অনেকটাই সরগম করেছে দলীয় বিদ্রোহী নব্য আওয়ামী লীগ নেতা প্রথমবারের মতো সদ্য জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। আগে এ উপজেলায় তার পরিচিতি না থাকলেও আওয়ামী লীগের একটি অংশ আদাজল খেয়ে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর (ট্রাক প্রতীক) কাজ করায় বর্তমানে তিনি কিছুটা পরিচিত হয়ে উঠছেন। এ ছাড়া বাকি প্রার্থীদের এ উপজেলায় তেমন কোনো পরিচিতি বা প্রাধান্য না থাকায় মমতাজ বেগম বেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই রয়েছেন হরিরামপুরে।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন। মাহি ভোটারদের কাছে ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ভোটাররা বলছেন, শেষ পর্যন্ত মাহি পড়তে পারেন বিজয়ের মালা। ২০২২ সালে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনীতির মাঠে নাম লেখান চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। বর্তমানে নিজের নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। তার প্রচার-প্রচারণায় দলীয় পদধারী কোনো নেতা অংশ না নিলেও জনগণের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।
বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর দুর্বলতার জায়গাগুলো তুলে ধরে একজন নারীকে ভোটারদের জনপ্রতিনিধি বানানোর অনুরোধ জানাচ্ছেন মাহি। মাহির এমপিবিরোধী প্রচার ও আবদারগুলো সাধারণ ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
ভোটে নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মাহিয়া মাহি বলেন, মাঠের অবস্থা খুবই ভালো। সাধারণ জনগণের যে রেসপন্স সেটি খুব চোখে পড়ার মতো। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী হিসেবে নোঙ্গর প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। নিজের কণ্ঠে নতুন গানে জমজমাট প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। স্থানীয়রা জানান, দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী সারা দেশে চমক সৃষ্টি করে গানের মঞ্চ থেকে সরাসরি নেমেছেন ভোটের লড়াইয়ে। বিএনএমের নোঙ্গর প্রতীকে ভোটের প্রচারণায় নির্বাচনী এলাকায় ব্যস্ত সময় কাটছে তার। তবে জনপ্রিয় এই শিল্পীর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি তৃপ্ত হচ্ছেন না ভোটাররা, ভোটারদের মন জয়ে ডলিকে মেটাতে হচ্ছে ভক্তদের গান শোনার আবদারও।
ঋণ জটিলতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হকের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে বিএনএম প্রার্থী ডলির সঙ্গেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হয়ে গামছা প্রতীকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস। এরই মধ্যে নির্বাচনী মাঠে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকের প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার পাশাপাশি গানের সুরে সুরে প্রচার চালিয়ে এরই মধ্যে ভিন্ন জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই প্রার্থী। গ্রামের সাধারণ মানুষও তাকে দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত, অনেকেই আবার নকুল কুমার বিশ্বাসকে একনজর দেখার জন্য প্রচারণাস্থলে ছুটে যাচ্ছেন। এমনকি গ্রামের সাধারণ মানুষ তার নির্বাচনের খরচ জোগাচ্ছেন। এ নিয়ে নকুল কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি তো কোটিপতি নই, তাই জনগণের কাছে টাকা চেয়েছি। জনগণ ভালোবেসে আমার নির্বাচনের যে খরচ হবে, তা করবে বলেই আমার বিশ্বাস।
এই আসনে ১৪ দলের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম ও এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু। অন্য তিন প্রার্থীর মাঠে তেমন উপস্থিতি কিংবা প্রচার নেই।