রাজন ভট্টাচার্য
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৮ এএম
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দলীয় প্রতীক নিয়েই অনেক দল ভোটমুখী

স্থানীয় নির্বাচন
গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। এরই মধ্যে এসব নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ভোটমুখী বেশিরভাগ দল এ নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকেই লড়তে চায়। তবে বিএনপিসহ আন্দোলনরত দলগুলো বর্তমান সরকারের অধীনে সব পর্যায়ের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। আর স্থানীয় পর্যায়ে দুর্বল অবস্থানের কারণে এই ভোট নিয়ে ছোট দলগুলোর তেমন আগ্রহ নেই বলে জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে কালবেলার পক্ষ থেকে ৩৩ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধিত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে। এর মধ্যে আটটি দল এরই মধ্যে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে ১২টি রাজনৈতিক দল। এ ছাড়া দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করতে চায় দুটি দল। জাতীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় নির্বাচনেও যাচ্ছে না ১০টি দল। এ ছাড়া নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও প্রার্থী দেওয়ার মতো অবস্থা না থাকায় এ নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না একটি দল।

আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তপশিল ঘোষণা না হলেও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারা দেশে উপজেলা পরিষদ আছে ৪৯৫টি। আগামী ৪ মে থেকে মোট চারটি ধাপে এসব নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট হবে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ১১ মে, তৃতীয় ধাপের ভোট হবে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে।’

এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘দলের তো কারও প্রতি সমর্থন থাকবে না, এটা নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় নির্বাচনে এবার প্রার্থী বেশি হবে। যিনি জনপ্রিয় তিনি নির্বাচিত হবেন। প্রার্থী বেশি হলেও সংঘাত হবে না। কারণ নির্বাচন কমিশন শক্ত হাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবে। যেমন করেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।’

তবে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেব। এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে। যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তারা আগ্রহ নিয়ে ফরম সংগ্রহ করছেন।’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) দলীয় প্রতীক নিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে। জাসদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা দলীয় প্রতীকে অংশ নেব।’

তবে স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পথেই হাঁটছে ১৪ দলীয় জোটের আরেক শরিক গণতন্ত্রী পার্টি। দলটির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত, তারা উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক দেবে না।

প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গণতন্ত্রী পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার কালবেলাকে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি। এতে অংশগ্রহণ বাড়বে।’

অন্যদিকে প্রতীকের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে তরিকত ফেডারেশন। দলটির চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা জোটগতভাবে আলোচনা করে প্রতীকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। সব জেলার নেতাদের ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছি। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে প্রার্থী দেওয়ার মতো দলীয় অবস্থান না থাকায় প্রতীক নিয়েও ভাবছে না সাম্যবাদী দল। ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া কালবেলাকে বলেন, ‘আমার তো তেমন একটা প্রার্থী নেই। যদি কেউ এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় তখন সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কল্যাণ পার্টি। জাতীয় নির্বাচনে ফল বিপর্যয় হলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি (জেপি)।

অন্যদিকে সব উপজেলায় প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া নতুন দল তৃণমূল বিএনপির। দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মেজর অব. ডা. শেখ হাবিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘দলের মনোনীত প্রার্থীরা জাতীয় নির্বাচনের মতোই দলীয় প্রতীক ‘সোনালী আঁশ’ নিয়ে নির্বাচন করবেন।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে প্রার্থী দিয়ে আলোচিত হয় বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব প্রতীক) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি প্রতীক)। এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন দল দুটির নেতারা।

বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব মো. ইয়ারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেব। এ ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বুধবার (আজ) এ ব্যাপারে দলের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না কালবেলাকে বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে ৩৫ উপজেলায় প্রার্থীও ঠিক হয়েছে।’

ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও মুক্তিজোট দলীয় প্রার্থী দেবে বলে জানান তিনি।

এদিকে উপজেলাসহ সব পর্যায়ে নির্বাচন বর্জনের পথেই হাঁটছে বিএনপি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কালবেলাকে বলেন, ‘বিএনপি এখন পর্যন্ত এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকরা ভবিষ্যতে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, সেটা ভিন্ন কথা। এর আগ পর্যন্ত বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না, অদ্যাবধি সেটাই সিদ্ধান্ত।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ পাঁচ রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স কালবেলাকে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো পরিবেশ নেই। সারা দেশে এমপিতন্ত্রের কাছে বন্দি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। আমরা নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে চাই। তবে যথাসময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই।’

তিনি বলেন, ‘একতরফা নির্বাচনে অংশ নিতে সিপিবি আগ্রহী নয়, একই মত বাম জোটেরও। বাস্তব কথা হলো, সরকার দেশে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি।’

জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাস্তবতায় আমরা স্থানীয় সরকারে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘যেভাবে সংসদ নির্বাচন হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়নি। যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, সেহেতু আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকছি।’

জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না অলি আহমেদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিস ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ।

আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও প্রতীকের বিষয়ে কিছু চূড়ান্ত করেনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলের বহুধাবিভক্ত এই অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘স্থানীয় সরকারে দলীয় ও নির্দলীয় নির্বাচনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কারণ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা একেবারেই কাজ করছে না। স্থানীয় সরকার যদি কাজ না করতে পারে তাহলে এ নির্বাচনের তো কোনো অর্থ হয় না।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করার আগে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা না থাকলে এ ব্যবস্থার তো কোনো মূল্য থাকে না।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপিতে কোনো ভেদাভেদ নেই : মিনু

গুগলকে কনটেন্ট সরাতে অনুরোধের সংখ্যা নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা

অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের রাজনীতি করে বিএনপি : শিমুল বিশ্বাস

বগুড়ায় খালেদা জিয়ার নির্বাচন পরিচালনায় ১১ সদস্যের কমিটি

নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে কোনো সংস্কারই বাস্তবায়ন সম্ভব নয় : ইশরাক 

আ.লীগ হিন্দু সম্প্রদায়ের আবেগ নিয়ে রাজনীতি করেছে : আমান

তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে : নজরুল ইসলাম

আন্দোলনরত ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত

নারীসহ দুজনকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও প্রচার, চাঁদা দাবি

পুলিশকে কামড়ে পালানো সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

১০

ভূমিকম্পে ঢাকায় কোন এলাকা নিরাপদ, ‘ব্লাইন্ড ফল্ট’ কোথায়

১১

চার বছর পর ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার পিএস মাহসুদ

১২

ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা

১৩

চাঁদপুরের বাণিজ্য সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

১৪

পুলিশ আগে আমাকে গ্রেপ্তার করত, এখন স্যালুট দেয় : শাহজাহান চৌধুরী

১৫

সমাধান ছাড়াই শেষ হলো ববি ও বিএম কলেজের আলোচনা

১৬

দেশে আর কোনো স্বৈরশাসকের জন্ম হবে না : সেলিমুজ্জামান

১৭

আটকে গেল ১৩ শিক্ষার্থীর জজ হওয়ার স্বপ্ন

১৮

যৌন হয়রানীর অভিযোগে মামলা করলেন শুটার রত্না

১৯

মাতৃমৃত্যুর ৫৫ শতাংশই হয় প্রসব পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়

২০
X