প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে জাতীয় বাজেট বরাদ্দ সম্পর্কে অনেকেই বলেন কম। যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা খরচ করারও একটা সক্ষমতা থাকে। বরাদ্দের অর্থ যদি ঠিকভাবে ব্যয় করা না যায়, তাহলে বাজেট বাড়িয়ে লাভ হবে না। এক্ষেত্রে পরিকল্পনাটা জরুরি।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে বাংলা একাডেমি পরিদর্শন শেষে শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। তার সঙ্গে ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।
তিনি বলেন, সরকার সংস্কৃতিবান্ধব সরকার। সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। সে উদ্যোগগুলো দৃশ্যমান। এরপরও এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে সংস্কৃতিমনস্ক একটি জাতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব সংস্কৃতির সঙ্গে একটি মেলবন্ধন গড়ে তোলা। শিশুদের সংস্কৃতিমনা পরিবেশে বেড়ে তুলতে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাহিত্য ক্লাব গড়ে তোলা হচ্ছে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বাজেট কম এটি সত্যি। তবে আমাদের জানতে হবে এই বাজেটটিকে আমরা সঠিকভাবে কীভাবে ব্যবহার করব। এজন্য আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এ কারণে আমরা ঢাকাকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানই শুধু নয়, বিভাগীয় পর্যায় থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে দিব। রিডিং ক্লাব, লিটারেচার ক্লাব তৈরি করব।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, অনুবাদ নিয়ে একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৭টি প্রকল্পের প্রস্তাব রয়েছে। ৮টি প্রকল্পের প্রস্তাব যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে বাংলা একাডেমি প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কাজ করার সামর্থ্য অর্জন করবে। দীর্ঘদিন পর আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি। নির্বাচন করতে যে আইন বা বিধিমালা লাগে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খুব কম সময়ে এর কাজ সম্পন্ন হবে। বাংলা একাডেমির ডিসেম্বরের কার্যবিবরণী সভার আগেই দেখা যাবে বাংলা একাডেমির একটি নির্বাচিত কাউন্সিল রয়েছে।
মতবিনিময় সভার আগে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বাংলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ পরিদর্শন করেন। একাডেমির মহাপরিচালক, সচিব, পরিচালক ও উপপরিচালকবৃন্দের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রম সম্পর্কে বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন