কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ্মা ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুতদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বহালের আলটিমেটাম 

চাকরি পুনর্বহলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পদ্মা ব্যাংক থেকে চাকুরিচ্যুতরা। ছবি : সংগৃহীত
চাকরি পুনর্বহলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পদ্মা ব্যাংক থেকে চাকুরিচ্যুতরা। ছবি : সংগৃহীত

চাপ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান ছাড়তে বাধ্য করা এবং টারমিনেটকৃত সাবেক কর্মকর্তাদের পদ্মা ব্যাংকে চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চাকরিচ্যুতরা। দাবি পূরণে আগামী তিন সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মকর্তারা।

রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ ও ফের ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। আন্দোলনকারীদের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. মেজবা উল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় চৌধুরী নাফিজ সারাফাত অন্যায়ভাবে কর্মকর্তাদের ফোর্স রিজাইন এবং চাকরিচ্যুত করেন। মানববন্ধনে প্রধান সমন্বয়ক মেজবাউল আলম বলেন, গত ২৭ আগস্ট আমরা পদ্মা ব্যাংকের গুলশানের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কাজী মো. তালহার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কর্মকর্তাদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি পেশ করেছিলাম। তখন তিনি কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালসহ অন্য দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। দাবি পূরণে আমরা ৪৮ ঘণ্টার সময় দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাতের আজ্ঞাবহ পরিচালনা পর্ষদ বহাল রয়েছে।

আমরা আরও বলেছিলাম, নাফিজ সারাফাতের পদ্মা ব্যাংক থেকে অর্থ লুটপাটের সহায়তাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। উনি তাও করেননি। এমন বাস্তবতায় মানববন্ধন থেকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতদের আগামী তিন সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পদ্মা ব্যাংকের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বন্ধু সাব্বির মোহাম্মদ সায়েম মিরপুর শাখার ব্যবস্থাপক থাকার সময় ওই শাখা থেকে নামে-বেনামে ১২০ কোটি টাকা লোপাট করেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো তাকে পদোন্নতি দিয়ে গুলশান করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক করা হয়েছে। বক্তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, পদ্মা ব্যাংক বারবার সংকটে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে দুর্নীতি। পদ্মা ব্যাংক থেকে এই দুর্নীতিগ্রস্ত পরিচালক ও কর্মকর্তাদের বিতাড়িত না করা হলে, পদ্মা ব্যাংক রুগ্ন থেকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে। এতে গ্রাহকদের আস্থা কমবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তেই কপাল পুড়ল বাংলাদেশের

পুকুরে মিলল ভাই-বোনের মরদেহ, মায়ের দাবি হত্যা

হার্ট ব্লকের ঝুঁকিতে যারা

দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণে বাধা, ঘুরিয়ে দেওয়া হলো ১৫ ফ্লাইট

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

বায়ুদূষণের শীর্ষে কায়রো, ঢাকার অবস্থান কত

রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছড়ে পড়ল বিমান, পাইলটও নিহত

ঝোপে পড়ে থাকা ড্রাম খুলতেই দেখা গেল লোমহর্ষক দৃশ্য

ট্রান্সপোর্ট বিভাগে নিয়োগ দিচ্ছে গাজী গ্রুপ

ভারতে পাথরচাপায় বাসের ১৮ যাত্রী নিহত

১০

ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

১১

চোরাই মোবাইল উদ্ধার অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা

১২

১২ দিনের ছুটি শেষে আজ খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

১৩

সকালে খালি পেটে পানি পানের ৯ উপকারিতা

১৪

বেড়েছে যমুনার পানি

১৫

স্বপ্নভরা ছেলেটি আজ মাটির নিচে, মাদকবিরোধী রামেল হত্যায় স্তব্ধ গ্রাম

১৬

সাতক্ষীরার ‘বিতর্কিত’ মেডিকেল অফিসারকে মেহেরপুরে বদলি

১৭

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৮

আউটলেট ইনচার্জ পদে নিয়োগ দিচ্ছে আগোরা

১৯

স্ত্রী তালাক দেওয়ায় আব্দুর রহিমের কাণ্ড

২০
X