কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দামের চেয়ে খেজুরের শুল্ক দ্বিগুণ!

খেজুর। পুরোনো ছবি
খেজুর। পুরোনো ছবি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) খেজুরকে বিলাসী পণ্য হিসেবে শুল্ক নির্ধারণ করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, খেজুর আমদানি করতে প্রকৃত দামের প্রায় দ্বিগুণ শুল্ক দিতে হয়।

রাজধানীর মতিঝিলে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এফবিসিসিআই বোর্ডরুমে রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও সামগ্রিক দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১১০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা খেজুরে শুল্ক দিতে হয় ১৪০ টাকা। পরে এটি বাজারে বিক্রি হয় ২৫০ টাকায়। একইভাবে ১২০ টাকা কেজির খেজুরে ২১০ টাকা শুল্ক দিয়ে বাজারে ৩৩০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। এজন্যই বাজারে খেজুরের দাম এত বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই শুল্ক যুক্ত করা হয়েছে। অথচ গত বছর এক কেজি খেজুরে মাত্র ১০ টাকা শুল্ক দিয়েছি।

তিনি বলেন, ইফতারের সময় মুসলমানরা অন্তত দুই-তিন টুকরো খেজুর খেয়ে থাকেন। গত ৩৫ বছর ধরে আমি খেজুর আমদানি করি, কিন্তু কখনো শুল্ক দিতে হয়নি। আমি খেজুর আমদানি করলাম ৯০০ থেকে ১০০০ ডলারে। চট্টগ্রামের কাস্টম কমিশনার সাধারণ কনটেইনার খেজুরের জন্য ২৫০০ ডলার এবং হিমায়িত কনটেইনারে খেজুরের জন্য ৪০০০ ডলার শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এতে খেজুরের দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে গেছে। আমরা এনবিআর-এ কথা বলেছি, তারা কোনো যুক্তি দেখাতে পারল না কেন এটার শুল্ক ২৫০০/৪০০০ করল। এই অ্যাসেসমেন্টে এক কার্টন খেজুর আমাকে বিক্রি করতে হবে সাড়ে ৪০০০ টাকায়, কেজি পড়বে ৪৫০ টাকা। আসলে আমরা সবাই যদি সহযোগিতা না করি, তাহলে বাজারে খেজুরের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দাম রাখতে পারব না।

আলোচনা সভায় দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, রমজান মাস ইবাদতের মাস। আপনারা সারা বছর ব্যবসা করেন, রমজান মাসেও ব্যবসা করবেন। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে ফেস্টিভ্যালে ছাড় দেওয়া হয়। আমাদের দেশেও তেমন হতে হবে। আপনারা রমজান মাসে ‘ন্যায্য লাভ’ করবেন।

তিনি বলেন, রমজানে বাজার মনিটরিং পুলিশ দিয়ে করানো হোক তা চাই না। বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিটরিং করলেই হয়। আপনারা এটা না করলে সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। এটা আমরা চাই না। অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কোনো কথা বলবে না।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, পথে চাঁদাবাজির শিকার হলে আমাদের জানাবেন। আমরা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আলাপ করব।

ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি এ সভায় সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জেলেরা হেলমেট পরে মাছ ধরেন যেখানে

বিমানবাহিনীর আন্তঃঘাঁটি স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

স্পেনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

কারাগারে সন্তান জন্ম দিলেন হত্যা মামলার আসামি

সিলেটের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় সিআইডির অনুসন্ধান শুরু

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ৬ সেপ্টেম্বর

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালালের বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ

ডাকসু নির্বাচন / ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার দায়ে বাদ জুলিয়াস সিজার

ধর্ষণসহ হত্যায় ফুফাতো ভাইয়ের যাবজ্জীবন

কাজী নজরুলের কবিতা দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস যুগিয়েছে : তারেক রহমান

১০

‘রোহিতকে সরানোর জন্যই ব্রঙ্কো টেস্ট এনেছে বিসিসিআই’

১১

অভিনেত্রী হিমুর আত্মহত্যা, প্রেমিক রাফির বিচার শুরু

১২

ভারতে প্রয়াত ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা পাবে অনুদান

১৩

রাজধানীতে একক ব্যবস্থায় বাস চলবে : প্রেস উইং

১৪

ভিনিকে বিক্রি করে দিতে বললেন রিয়াল কিংবদন্তি

১৫

নতুন বিচারপতিদের মধ্যে সংখ্যালঘু নেই, ঐক্য পরিষদের ক্ষোভ

১৬

বিসিবির হাতে বিপিএলের স্পট ফিক্সিং তদন্ত প্রতিবেদন

১৭

ফেসবুকের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন মাওলানা মামুনুল হক

১৮

চুল পড়া রোধ করবে যে জিনিস

১৯

ডাকসু নির্বাচনে সাত সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন

২০
X