ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত হজরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ.) মাজার শরিফ ওয়াকফ এস্টেটের আওতাধীন জমি থেকে ব্যবসায়ী উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় আড়ত ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে শতাধিক ব্যবসায়ী এ কর্মসূচি পালন করেন।
সম্প্রতি ওয়াকফ এস্টেট কর্তৃপক্ষ একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, মাজার এলাকা সংলগ্ন জমিতে গড়ে ওঠা অস্থায়ী কাঁচাবাজার এবং রাস্তার ওপর স্থাপিত দোকান ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমের কারণে তীব্র যানজটসহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, এস্টেট কর্তৃপক্ষ সাত দিনের সময়সীমা দিয়ে ব্যবসায়ীদের স্বেচ্ছায় স্থান ত্যাগ করার নির্দেশনা দেয়।
তবে এ নির্দেশনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করে এলেও হঠাৎ করে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রে তাদের উচ্ছেদ করতে চায় কর্তৃপক্ষ।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সুলাইমান দেওয়ান বলেন, মাজারের একটি পক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা নতুন একটি টিনশেড ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি। কাজ শেষ হলেই স্বেচ্ছায় সেখানে চলে যাব। কিন্তু মাত্র সাত দিনের মধ্যে এই স্থান খালি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এতে আমরা মারাত্মক ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়ব। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে মানবিক বিবেচনায় সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানাই।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, বর্তমান অবস্থান থেকে সরে যেতে হলে পর্যাপ্ত সময়, উপযুক্ত বিকল্প স্থান এবং আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা জরুরি। এ ধরনের অল্প সময়ের নোটিশ কার্যত বাস্তবায়ন অযোগ্য এবং অন্যায্য বলেও দাবি তাদের।
মানববন্ধন শেষে ব্যবসায়ীরা একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন, যা শাহ আলী আড়ত এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, উক্ত জমি লিজ প্রদান এবং গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে শাহ আলী (রহ.) আড়ত মালিক ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন (নং-১৪৮২৭/২০২৪) করে। আদালত ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়া ওই জমি লিজ না দিতে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা আশা প্রকাশ করেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মানবিক ও আইনগত দিক বিবেচনায় নিয়ে বিষয়টির দ্রুত এবং সুষ্ঠু সমাধান করবে। তারা চান, যাতে ব্যবসায়ীদের জীবিকা এবং জনসাধারণের চলাচলের পথ উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
মন্তব্য করুন