রাজধানীর মিরপুর শিয়ালবাড়ি এলাকায় কেমিক্যাল গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৬ জনের মধ্যে সাতজনের মরদেহ শনাক্তের দাবি করেছেন স্বজনরা।
রূপনগর থানা পুলিশ জানিয়েছে, শনাক্ত লাশগুলোর ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে রূপনগর থানার ওসি (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত সাতটি লাশের দাবিদার পাওয়া গেছে এবং আরও স্বজন লাশ শনাক্তের জন্য আসছেন। ময়নাতদন্তের সময় লাশের পাশাপাশি স্বজনদের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হবে। এরপর যেগুলো নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হবে, সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার রাতেই সব লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ সংগ্রহের পর হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এদিকে বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মিরপুরে রাসায়নিক কারখানা এবং পোশাক কারখানায় আগুনের ১৬ জনের মৃতদেহ আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেয়েছি। তাদের মধ্যে নয়জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। লাশগুলো আগুনে পুড়ে এমন অবস্থা হয়েছে যে শনাক্ত করাটা খুব কঠিন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১০ জন দাবি করেছেন, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে। তবে কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ নিশ্চিত না হয়ে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে চাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যারা লাশের দাবিদার হয়েছেন তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য সবার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। যেসব লাশের দাবি কেউ করবে না, সেগুলো কয়েকদিন রাখা হবে। এরপর সেগুলো হয়ত আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মিরপুর থানা পুলিশ এটা নিয়ে কাজ করছে। পুলিশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। আমি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি, উনারা দ্রুতই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব যারা দাবি করছেন লাশগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রূপনগরের ওই কেমিক্যাল গুদাম ও পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। এতে আরও তিনজন ধোঁয়ায় অচেতন হয়ে অসুস্থ হন।
মন্তব্য করুন