তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার সব সময় যুক্তিসংগত বিতর্ককে স্বাগত জানায়। বিতর্কের মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রথম আন্তঃস্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ওই কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগে টেলিভিশনে বিতর্ক অনুষ্ঠান ছিল না। কারণ, বিতর্কে অনেক সময় সরকারের সমালোচনা করা হয়। আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে বিতর্ক চর্চার বিকল্প নেই। এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকার ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরু করে, যা এখন বাস্তবায়িত। তারপরও আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’
তিনি শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নূর আনোয়ার হোসেন রঞ্জু সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম.এ মালেক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সুকান্ত ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন।
এদিকে চূড়ান্ত পর্বের বিতর্ক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রথম আন্তঃস্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
চূড়ান্ত পর্বে বিতর্কের বিষয় ছিল ‘ডেভেলপিং এন এক্সপোর্ট অরিয়েনটেড বিজনেস এনভায়রনমেন্ট ইজ বেটার ড্রাইভার অব আওয়ার ইকোনমি দ্যান রিলাইয়িং অন রেমিট্যান্স ইনকাম’।
প্রতিযোগিতায় সারা দেশের ৬৪টি স্কুল বিতর্কে অংশ নেয়। এতে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজকে হারিয়ে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ প্রথম স্থান অর্জন করে।
মন্তব্য করুন