বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বগুড়ায় মা-মেয়ে-নাতিসহ একই পরিবারের ৭ সদস্য নিখোঁজ

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়াদের কয়েকজন। ছবি : সংগৃহীত
রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়াদের কয়েকজন। ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ায় একইসঙ্গে মা-মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ সাতজন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। গত চার দিনেও তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি।

এ ঘটনায় শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই পরিবারের প্রধান জীবন মিয়া।

এর আগে গত ৩ জুলাই দুপুরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে একসঙ্গে সাতজন নিখোঁজ হন।

নিখোঁজ নারী ও শিশুরা হলেন, জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩০), তার তিন সন্তান সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (১৩), যমজ দুই ছেলে হাসান (৬) ও হোসেন (৬), শাশুড়ি ফাতেমা বেবি (৫০), শ্যালক বিক্রম আলী (১৩) ও শ্যালিকা রুনা খাতুন (১৭)।

জীবন মিয়া জানান, তিনি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি লালমনিরহাট জেলা সদরে।

গত ১০ বছর ধরে তিনি বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। একই বাসায় স্ত্রী সন্তান ছাড়াও শাশুড়ি, শ্যালক শ্যালিকা বসবাস করে। তার শাশুড়ি নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন। আর তিনি পুরাতন ফ্রিজ কেনাবেচার দোকান পরিচালনা করেন।

জীবন মিয়া বলেন, গত ৩ জুলাই দুপুরে বাড়িতে ভাত খেতে এসে দেখতে পারেন বাসায় কেউ নেই। স্ত্রীর ফোন বন্ধ। শাশুড়ির ফোন বাসাতে রেখে গেছেন। পরিধেয় কাপড়চোপড় ছাড়া অন্য কিছু তারা নিয়ে যাননি। পরে লালমনিরহাটে তার শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ করে সেখানেও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, লালমনিরহাটে যোগাযোগ করলে তার নানি শাশুড়ির কাছে জানতে পারেন এক মাস আগে এক ব্যক্তি তার শাশুড়ি ও স্ত্রীকে ভালো চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। জীবন মিয়ার ধারণা অপরিচিত ওই ব্যক্তির প্রলোভনে পড়ে চাকরির আশায় তারা মানব পাচারকারীর কবলে পড়তে পারে।

নারুলী পুলিশ ফাড়ির ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম জানান, ফাতেমা বিবি লালমনিরহাট যাওয়ার কথা বলে গত ২ জুলাই ছুটি নেন। ৬ জুলাই তার ফিরে আসার কথা। ফাঁড়িতে রান্নার কাজে না আসায় তাকে ফোন করা হলে জামাই ফোন রিসিভ করে নিখোঁজের বিষয়টি জানান। এরপর তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে বিস্তারিত শুনে থানায় পাঠিয়ে জিডি করার ব্যবস্থা করা হয়।

পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম আরও বলেন, একসঙ্গে সাতজন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, জীবন মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবেও কিছু দেনা থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তারপরেও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১০

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১১

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১২

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১৩

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৪

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৫

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

১৬

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

১৭

ফুটবলকে বিদায় বললেন মেসির আরও এক সতীর্থ

১৮

প্রথমবারের মতো ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ

১৯

ভারতীয়দের জন্য সংকুচিত হচ্ছে মার্কিন দরজা

২০
X