ঝালকাঠিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার নলছিটি উপজেলার ১২৫নং বাইতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাওয়া এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকাজ শুরু করেছে শিক্ষা বিভাগ।
বুধবার (১০ জুলাই) গৌরনদীর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র হাওলাদার ও বরিশাল সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগের তদন্ত করেছেন।
সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কাছে উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের মজকুনী গ্রামের ১৮ জন বাসিন্দা নিজেদের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই মধ্যে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলে কর্মরত আছেন। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তার নিজস্ব লোকজনকে নিয়ে স্কুলের বিদ্যোৎসাহী কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটির সদস্যদের ছেলেমেয়েরা কেউ স্কুলের ছাত্রছাত্রী নয়।
এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে জমি দখলেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কবির হাওলাদারের জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করছেন। ওই ভবনের ঠিকাদার অভিযুক্তের সঙ্গে যোগসাজশে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ভবনের কাজ করছেন। ঠিকাদারের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে স্কুল কমিটির সদস্যদের নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে। স্কুলের বিভিন্ন খাতে আসা সরকারি অর্থও বণ্টন করা হয়। স্কুলের কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করা হয় না।
তবে এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অর্থ বরাদ্দ শুধু কাগজে কলমে হয়, সব টাকা প্রভাবশালীদের ভাগবাটোয়ারা করে দিতে হয়।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যার প্রমাণও আছে, এগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটিরি সদস্য কর্মকর্তা বরিশাল সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা বাদী-বিবাদীদের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নিয়েছি। এর পাশাপশি প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ সংগ্রহ করেছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
মন্তব্য করুন