ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘নদীত পানি বাইল্লেই বুকটা ধপাস করি উঠে’

নীলফামারীর ডিমলায় ভেঙে গেছে নদীরক্ষা বাঁধ। ছবি : কালবেলা
নীলফামারীর ডিমলায় ভেঙে গেছে নদীরক্ষা বাঁধ। ছবি : কালবেলা

তিস্তা নদীপাড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ঢালে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ষাটোর্ধ্ব হযরত আলী। পেশায় তিনি একজন দিনমজুর। দুই বছর হলো বেড়িবাঁধ ভেঙে ভিটেমাটি হারা তার পরিবার।

হযরত আলী বলেন, ‘তিস্তা নদীত পানি বাইল্লেই বুকটা ধপাস করি উঠে! কখন হামার বাড়ি ভাঙি যায়।’ এখন তিস্তার পানি বাড়লেই আতঙ্কে দিন কাটে তাদের। কারণ, নদীতে পানি বাড়লেই বসতভিটা আবার ভেসে যাবে। আলী নতুন করে ঘর তৈরি করতে পারলেও, দিনমজুর মোশারফ হোসেন ও অন্যের বাড়িতে কাজ করে খাওয়া নুর বানুর পরিবারের সে সুযোগ হয়নি।

চোখের পলকে বাঁধ ভেঙে তাদের বসতভিটা গিলে নিয়েছে ভয়াল তিস্তা। পরে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের ধারেই আত্মীয়ের বাড়িতে। সে আশ্রয়টুকুও এখন আর নিরাপদ নয়। শুধু মোশারফ হোসেন, হযরত আলী, নুর বানুরা নন, তিস্তার ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বেড়িবাঁধের ওপর বসবাস করছেন উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার।

গৃহবধূ বিলকিস আক্তার (৩৫) বলেন, ‘নদীতে বান আসলেই আতঙ্কে বুক কাঁইপা ওঠে। বাঁধ ভাঙলেই আমাগো ঘরটাও পানিতে ভাসাইয়া নিয়া যাইবো। বাঁধ মজবুত থাকলে ভয় থাকত না।’

ডিমলা উপজেলায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে, যার পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাভুক্ত বেড়িবাঁধ ৩৫ কিলোমিটার। তার মধ্যে ১০কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২০/২৫ হাজার পরিবার বসবাস করেন বাঁধের ওপর ও তিস্তার চরে।

বাসিন্দাদের দাবি, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা বড় বড় ট্রাক্টরে চরের বালু পরিবহন করায় বাঁধ নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি বাঁধের নিচ থেকে বালু উত্তোলন করায় ভাঙনের ঝুঁকি বেড়েছে কয়েকগুণ।

পাউবোর ডালিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা (প্রিন্স) বলেন, দুর্যোগকালীন সময়ে কোথাও ভাঙন দেখা দিলে তা মোকাবিলায় জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় হামাসের বন্দুকধারীদের টহল

আগামীর রাষ্ট্রকাঠামোর পূর্ণ রূপরেখা ৩১ দফাতেই রয়েছে : কফিল উদ্দিন 

পরিবেশ রক্ষায় ৮০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে : টুকু 

ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি : আমিনুল হক

মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প

নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন আনচেলত্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ ও প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত

ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে

পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগে মিলল নবজাতকের মরদেহ

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

১০

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১১

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১২

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

১৩

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

১৪

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

১৫

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

১৬

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১৭

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

১৮

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

১৯

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

২০
X