ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (বালক অনুর্ধ ১৭) উদ্বোধনের পরই দুপক্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে টুর্নামেন্টের সব খেলা স্থগিত করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (বালক (অনূর্ধ্ব ১৭) উদ্বোধন করা হয়। আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল করিম খান সাজু।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে উদ্বোধনী দিনে চরচারতলা ইউনিয়ন বনাম দূর্গাপুর ইউনিয়ন ও আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বনাম শরীফপুর ইউনিয়নের মধ্যে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু খেলা শুরুর আগেই বয়স যাচাই করে চরচারতলা ইউনিয়ন ও দূর্গাপুর ইউনিয়নের খেলোয়াড় নির্বাচন নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আশুগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম ও দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রাসেল মিয়া বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে পড়ে।
এতে উভয়পক্ষের লোকজন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আশুগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টরের (তদন্ত) সামনেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মাঝেই দুপক্ষের লোকজন চেয়ার ছুড়াছুড়ি ও সংঘর্ষে জড়ায়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে চরচারতলা ইউনিয়ন ও শরীফপুর ইউনিয়নের খেলোয়াড়রা খেলার উপযুক্ত পরিবেশ নেই দাবি করে মাঠ ত্যাগ করে। পরে বাধ্য হয়ে টুর্নামেন্টের সব খেলা স্থগিত ঘোষণা করেন ইউএনও।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন, আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় আপাতত টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে উভয়পক্ষকে নিয়ে বিরোধ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ওসি নাহিদ আহমেদ বলেন, পুলিশ দ্রুত অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এমনকিছু পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন