কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মৌসুমে পিরোজপুরের চারার হাটে কোটি টাকার কেনা-বেচা

পিরোজপুরের কাউখালীর হাটে বনজ ও ফলজ গাছের চারা। ছবি : কালবেলা
পিরোজপুরের কাউখালীর হাটে বনজ ও ফলজ গাছের চারা। ছবি : কালবেলা

পিরোজপুরের কাউখালীতে নেছারাবাদ, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, ভান্ডারিয়া, বানারীপাড়াসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন নার্সারি থেকে চারা বাজারজাতের জন্য আনা হয় কাউখালীর হাটে। সপ্তাহে শুক্র ও সোমবার হাটে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ ও ফলজ চারা বিক্রি করা হয়। চারা কেনাবেচার মৌসুম চলে জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত। তবে আষাঢ় মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত এই চার মাস কেনা-বেচা হয় সবচেয়ে বেশি। এতে কোটি টাকার ওপরে চারা বিক্রি করেন নার্সারি ব্যবসায়ীরা।

কাউখালী থেকে নার্সারিতে উৎপাদিত চারা শুধু কাউখালী নয়, এখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রেতারা পাইকারি ও খুচরা মূল্যে রোপণ কিংবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।এ এলাকার নার্সারিতে উৎপাদিত চারা টেকসই বলেই সুপরিচিত।

ফলে দেশের ঝালকাঠি, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুরসহ দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলের প্রতিটি উপজেলায় এ এলাকার নার্সারির চারা সরবরাহ করা হয়। বাজারে কেনা-বেচা ছাড়াও পাইকাররা সরাসরি এলাকার নার্সারিতে গিয়ে তাদের পছন্দমতো বিভিন্ন প্রজাতির চারা কিনে নিয়ে যায়। পরিবহনের ভালো সুবিধা থাকার কারণে নৌকা, লঞ্চ, টলারসহ নৌপথ ও সড়কপথে বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে পারে।

অত্র এলাকার নার্সারিতে উৎপাদিত চারার মধ্যে রয়েছে- চাম্বল, রেইনট্রি, মেহগনি, আকাশমনি, জামরুল, সেগুনসহ ২৫-৩৫ টি বনজ প্রজাতির চারা। এ ছাড়া ফলজ চারাও সমানতালে উৎপাদিত হয় এলাকায় নার্সারিগুলোতো। ফলজ চারার মধ্যে রয়েছে- আমড়া, আমলকী, জলপাই, বড়ই, আম, কাঁঠাল, নারকেল, লেবু, সুপারি, জাম, পেয়ারা, ছবেদা, লকট, লিচু ও কামরাঙ্গাসহ ২০-২৫ প্রজাতির চারা।

ব্রিটিশ আমল থেকে সন্ধ্যা ও চিরাপাড়া নদীর কল ঘেঁষে অবস্থিত কাউখালী বন্দরের হাটে নার্সারিতে উৎপাদিত চারা বিক্রি হওয়া শুরু হয়। ধীরে ধীরে বাজারজাতকরণের পর এলাকায় গড়ে ওঠে নার্সারিতে উৎপাদিত চারার বিশাল হাট। ৩-৪ ফুট থেকে শুরু করে ১০-১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা একটি বনজ চারা নার্সারি থেকে উত্তোলন করে বিক্রয়ের জন্য হাটে নিয়ে আসা হয়।

পিরোজপুর থেকে চারা কিনতে আসা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ জানান, তিনি এই মোকাম থেকে প্রতি মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির কিনে নিয়ে যান। তার দেখাদেখি এ অঞ্চলের অনেকেই কাউখালীর মোকাম থেকে প্রতি মৌসুমে বনজ ও ফলজ চারা কিনে নেন।

নার্সারি ব্যবসায়ী আবু হানিফ জানান, তিনি দুই বিঘা জমির ওপর নার্সারিতে বিভিন্ন প্রজাতির চারা উৎপাদন করে বছরের একটি মৌসুমে সাত থেকে দশ লাখ টাকা আয় করেন। বর্তমানে একটি নারকেল চারা ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এক কুড়ি সুপারি গাছের চারা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।

কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোমা রানী দাস জানান, কাউখালীর নার্সারিতে উৎপাদিত চারার মান খুবই ভালো এবং আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন নার্সারিতে গিয়ে নার্সারি মালিকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অর্ধশতাধিক কর্মীকে নতুন গাড়ি দিয়ে তাক লাগালেন বস

বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ম্যাচসহ টিভিতে খেলার সূচি

খালি পেটে ঘি ভোলো না খারাপ?

‘আদা গ্রাম’, বদলে যাচ্ছে নারীদের জীবন

দিনের শুরু হোক ৫ সহজ ও স্বাস্থ্যকর পানীয় দিয়ে

হামাসকে ‘শেষ সুযোগ’ দিলেন ট্রাম্প

রুশ গ্যাস আমদানি বন্ধে নতুন আইন অনুমোদন করেছে ইইউ

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

নড়িয়ায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

কোটি টাকার স্টেশনে থামে না ট্রেন

১০

২১ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১১

মার্কেট অডিট বিভাগে চাকরি দিচ্ছে এসিআই

১২

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৩

আর্কিটেক্ট পদে নিয়োগ দিচ্ছে আরএফএল গ্রুপ

১৪

২১ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৫

হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিলেন ডিসি সারোয়ার

১৬

যেসব কারণে যানজটের কবলে সিলেট

১৭

এবার পুরোপুরি বন্ধ হলো বড়পুকুরিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন

১৮

আ.লীগ-জাপার ৫৬ ইউপি সদস্যের দলত্যাগের ঘোষণা

১৯

পরপর অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার সন্দেহ রিজভীর

২০
X