সিরাজগঞ্জে বেলকুচিতে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে আত্মহত্যার প্রবণতা। গেল দুই সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আত্মহত্যা করেছে অন্তত ছয়জন। পারিবারিক সমস্যা, নৈতিক অবক্ষয়সহ ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবের কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছে পুলিশসহ সচেতন মহল।
সরজমিনে ঘুরে জানা যায়, বেশির ভাগ আত্মহত্যা ঘটনা ঘটেছে পরিবারিক সমস্যার কারণে। যাদের বয়সসীমা ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এ ছাড়াও মানসিকভাবেও হতাশাগ্রস্ত হয়েও অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে, বেলকুচি উপজেলাসহ পৌর এলাকায় চলতি মাসেই প্রায় ছয়জন আত্মহত্যা করেছেন। যার কারণ হিসেবে দেখা গেছে পারিবারিক কলহ ও আবেগের ভস্মীভূত হয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। বেলকুচি থানার ওসি খায়রুল বাশার জানান, হঠাৎ করেই এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এটি আসলেই দুঃখজনক বিষয়। মানুষ আত্মহত্যার পথ যেন বেছে না নেয় সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা মসজিদের ইমামদের সঙ্গে কথা বলেছি যেন তারা নামাজের আগে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে আত্মহত্যার কুফল সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আলোচনা করেন। পাশাপাশি মন্দিরগুলোতেও তাদের ধর্মীয় প্রধানদের এর কুফল সম্পর্কে আলোচনার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষকে সচেতন করতে আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
বেলকুচি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষ যখন তার জীবনের প্রতি মায়া হারিয়ে ফেলে তখনই সে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এ ছাড়াও হতাশা হয়েও অনেকেই আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা সব ধর্মে মহাপাপ হিসেবে গণ্য। তাই এটি রোধে, এর কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে পারলে এটি রোধ হবে বলে মনে হয়।
মন্তব্য করুন