নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় আমন ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে বৃষ্টি কম হলেও এখন প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় তড়িঘড়ি করেই মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, আমন ধান কেটে ঘরে তুলেই আলু ও সরিষা আবাদ করবেন। সে লক্ষ্যেই আমন ধান রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা।
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলা ১৩ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভাজুড়ে ২০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রায় দুই হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ শেষ হয়েছে। আমন ধান কেটে ঘরে তোলার পর কৃষকরা মাঠে আলু ও সরিষাসহ বিভিন্ন প্রকার রবিশস্য আবাদের লক্ষ্য নিয়ে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ করছেন। আমন ধানের বেশকিছু হাইব্রিড ও উফশী জাত আগাম ধানের জাত হিসেবে কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে ব্রি ৩৩, ৩৯, ৫৬ , ৭২, ৭৫, বিনা ১৭, স্বর্ণা-৫ সহ বিভিন্ন জাতের ধান রয়েছে।
উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের কৃষক শহিদ মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে তিনি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করছেন। ধান কেটে জমিতে সরিষা আবাদ করবেন। গত বছর আমন মৌসুমে ধান কেটে প্রায় ৫ বিঘা জমিতে আলু সরিষার আবাদ করেছিলেন। এতে বেশ লাভবান হয়েছেন বলে জানান তিনি।
চিরাং ইউনিয়নের কৃষক সাইদুল মিয়া জানান, এবার তিনি ৩ বিঘা জমিতে বিনা ১৭ ও জিরাশাইল জাতের ধান রোপণ করছেন। ধান কেটে সব জমিতেই আলু ও সরিষা আবাদ করবেন।
এদিকে রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ারুল হক জানান, এবার বৃষ্টিপাতের প্রকোপ অনেকটায় কম। তবে এখন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি করেই জমিতে আমন ধান রোপণ করতে হচ্ছে।
কৃষকদের মতে, গত বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ ভালো হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। সেইসঙ্গে বাজারে বিক্রিতে দাম ভালো পাওয়ায় বেশ লাভবান হয়েছেন।
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেড় হাজার কৃষকের মাঝে বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।