সিলেটের কোতোয়ালি থানায় লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার সরকার পতনের খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে সিলেটের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা হামলা করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয়। বিকেল ৩টার পর থেকে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সিলেট কোতোয়ালি থানায় দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে থানার বাইরে রাখা ওসির গাড়িসহ দুটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন সময় জব্দকৃত ২০টি ও পুলিশের ব্যবহৃত ১৫টি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়।
সন্ধ্যার পর ওসিসহ অন্য সদস্যরা থানা ছেড়ে চলে যান। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তরা ওসি, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও অন্যান্য কার্য়ালয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বিভিন্ন মামলার নথি ও মূল্যবান কাগজপত্র পুড়ে যায়। এ সময় পুরো থানা ভবন, ফার্নিচার ভাঙচুর করা হয়।
দুর্বৃত্তরা পুলিশ সদস্যদের রুমে গিয়ে তাদের ব্যবহ্যত পোশাক, ট্রাংক থেকে কাগজপত্র ও টাকা নিয়ে যায়। এ ছাড়া ওসির বাসভবনে ঢুকেও লুটপাট চালানো হয়।
এক পুলিশ সদস্য জানান, তার ভাই দুদিন আগে বিদেশ থেকে ২ লাখ টাকা দিয়েছেন। ট্রাংকে রাখা টাকাগুলো দুর্বৃত্তরা লুটে নিয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কোতোয়ালি থানা এলাকা। সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানা পাহারা দিচ্ছেন। পুরো থানা ভবন ভাঙচুরের ক্ষত চিহ্ন। দরজা, জানালা ভাঙা। ভেতরে কোনো আসবাবপত্র নেই। ছড়িয়ে আছে টুকরো টুকরো কাগজ। উৎসুক জনতা ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সরিয়ে দিচ্ছেন।
এ ছাড়া সিলেটের বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ বক্স, সিলেট জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
মন্তব্য করুন