‘আমার স্বামীকে ওরা গুলি করে মারছে। তার দোষ ছিল ছাত্রদের পক্ষে আন্দোলন করছিল। এখন আমার সন্তানদের এতিম করে দিছে তারা। আল্লাহ এর বিচার করুক।’ এভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন নিহত আবদুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী ছাবিনা খাতুন।
ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন নিহত নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা সদর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখতে পান আবদুল্লাহ আল মামুনের রক্তাক্ত শরীর। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে তিনি মারা যান।
নিহতের বাড়ি গিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে সপরিবারে নারায়ণগঞ্জ চলে যান আবদুল্লাহ আল মামুন। সেখানে তিনি একটি সোয়েটার কোম্পানিতে কাজ করতেন। এদিকে স্বামীকে হারিয়ে শোকে কাতর তিন সন্তানের জননী ছাবিনা খাতুন। তিনি কারও সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলছেন না। সন্তানদের মধ্যে দুজন ছেলে ও একজন মেয়ে। তাদের ছোট ছেলের বয়স চার মাস।
নিহতের ছোট ভাই অলি উল্লাহ বলেন, আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে বড় ভাই মারা গেছে। বুধবার সকালে তাকে দাফন করা হয়েছে। ভাইকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার দাবি করছি।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, নিহতের পরিবারের খোঁজ নিয়েছি। তাদের সহযোগিতা করা হবে।