বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বগুড়ায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল হামলার ঘটনায় সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ (এমপি) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৮২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ১৬ জুলাইয়ের সেই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বগুড়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক রহিমা খাতুন।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপুকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, আসামির তালিকায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, এ কে এম আসাদুর রহমান দুলু, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন ও বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হাসান ববি, বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়সহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালান। এ সময় কার্যালয়ের তালা ভেঙে চেয়ার-টেবিল, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের ৮২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০-২০০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন