বগুড়া সদর থানা থেকে লুট হওয়া ৩৮টি অস্ত্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১টি উদ্ধার হয়েছে। তবে উদ্ধার ১১টি অস্ত্রই ব্যবহারের অযোগ্য বলে জানা গেছে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর বগুড়াসহ সারা দেশে আনন্দ মিছিলের সময় থানাগুলোয় হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায় দুর্বৃত্তরা। বগুড়ার সদর থানাতেও লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় থানার অস্ত্রাগার থেকে মজুদ ৩৮টি অস্ত্র লুট হয়ে যায়। এসব অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা।
বগুড়া সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া সদর থানা থেকে লুট হওয়া ৩৮টি অস্ত্রের মধ্যে ইতোমধ্যে ১১টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে চেলোপাড়া থেকে ৫টি, সাতমাথা থেকে একটি, সেনাবাহিনীর উদ্ধার করা দুটি এবং বাকি তিনটি সদর থানার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার ১১টি অস্ত্রই পুড়ে গেছে, যা ব্যবহারের অযোগ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অস্ত্রাগারে ৩৮টি অস্ত্র এবং গুলি মজুদ ছিল। এসব অস্ত্রের মধ্যে শটগান ও চায়না এসএমজি মডেলের সংখ্যাই বেশি ছিল। আর যে গুলি মজুদ ছিল, তা আগুনে বিস্ফোরিত হয়েছে। ফলে থানার ছাদ ও দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে যদি কোনো অস্ত্র ব্যবহারের যোগ্য হয়ে অন্যের হাতে থাকে তাহলে সেটা সবার জন্য ঝুঁকির কারণ।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, সদর থানা থেকে ৩৮টি অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা বাকি অস্ত্রগুলো উদ্ধারে কাজ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন ও নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাকি অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন