বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার প্রায় বেশিরভাগ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম। ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ।
জানা গেছে, কমলনগর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে চর লরেঞ্চ ও কাদিরা ইউনিয়নে গত ২৭ জুন উপনির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও স্থগিত করে জেলা নির্বাচন কমিশন। বাকি ৭ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গত ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে থাকলেও ১৫ আগস্ট থেকে ৫ নম্বর চর ফলকন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, ১ নম্বর চর কালকিনির ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ও ৯ নম্বর তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মির্জা রাছেল কার্যালয়ে যোগ দিয়েছেন। বাকি চার চেয়ারম্যান এখনো ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত আছেন।
এর মধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের মধ্যে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ৪ নম্বর চর মার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী মিয়ার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেন এলাকাবাসী। ইউসুফ আলী মিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ৭ নম্বর হাজির হাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ৬ নম্বর পাটোয়ারীর হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল আমিন রাজু ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২ নম্বর সাহেবের হাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
কমলনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সচিত্র রঞ্জন দাস কালবেলাকে বলেন, কর্মস্থলে অনুপস্থিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পরিবর্তে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব প্রদান করবে। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের নিবন্ধকের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করবে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারাই নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করবে।
মন্তব্য করুন