রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ঘুষের টাকা ফেরত পেতে আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফকির আবদুল কাদেরকে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় কক্ষে অবস্থান করে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেয় তারা। পরে প্রধান শিক্ষক টাকা ফেরত দিতে এক মাসের সময় চেয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গোয়ালন্দ এফকে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফকির আবদুল কাদের। গোয়ালন্দ পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লার পাড়ার জমেলা খাতুন তার মেয়ে শিরীনকে এফকে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়োগ দিতে প্রায় পাঁচ বছর আগে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেন ফকির আবদুল কাদেরকে।
কিন্তু আবদুল কাদের চাকরি দিতে ব্যর্থ হয় এবং টাকা দিতে গড়িমসি করে। জমেলা খাতুন বিভিন্ন সময় দেনদরবার করলেও টাকা ফেরত দেয়নি। ভুক্তভোগী পরিবারটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের জানালে তারা এসে আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফকির আবদুল কাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে চাপ দিলে তিনি একমাস পর টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন।
জমেলা খাতুন কালবেলাকে বলেন, আমার মেয়ের চাকরির জন্য পাঁচ বছর ধরে টাকা দিয়েছি। চাকরি দিতে না পারলেও টাকা তো ফেরত দিচ্ছে না। আজ নয় কাল এভাবেই আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। আমরা এখন বিপদে পড়ে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে স্কুল এসেছি।
প্রধান শিক্ষাক ফকির আব্দুল কাদের বলেন, আমি চাকরি দেওয়ার জন্য চুক্তি করে টাকা নিয়েছিলাম। এখন টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। আগামী মাসে টাকা ফেরত দিব। তাই তাদেরকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে সময় নিয়েছি।
গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, তার ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ঘুষ নিয়ে চাকরি দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অভিযোগ করে এবং তদন্তে সেটা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন