প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতার মা উল্লেখ করে জরুরিভাবে দেশের বিদ্যুৎ, দ্রব্যমূল্য ও ডেঙ্গু সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা।
রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ডিবি কার্যালয়ে বসে সোনারগাঁয়ের খানা খায় এবং আমান উল্লাহ আমানকে ফুল ও ফল পাঠিয়ে চিকিৎসার খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে বিএনপির রাজনীতির কবর রচিত হয়ে গেছে। ওই দলের নেতাকর্মীরা যা বোঝার বুঝে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে বিএনপি ভোট চাইতে জনগণের কাছে যাওয়ার সাহস করবে না। শুধু তিনটি বিষয়ে কিছুটা সমস্যা আছে, তা হলো বিদ্যুতের লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। এ তিন বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।
কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি গত সপ্তাহে দেখা করে গেছেন। এটাই উনার ভোট। এখন আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চাইব। সরকারের উন্নয়নের কথা বলব। আর যে তিনটি সমস্যা আছে তা অচিরেই সমাধান হয়ে যাবে।
পৌর মেয়র আরও বলেন, এ আসনের দুই উপজেলা। কবিরহাটের কথা বলতে পারব না। তবে কোম্পানীগঞ্জে আমরা ওবায়দুল কাদেরকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাব। সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে এখন আমরা এক। এভাবে থাকলে ভোটের মাঠে বিএনপি-জামায়াত আমাদের ধারেকাছেও আসতে পারবে না।
কাদের মির্জা বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী স্থানীয় বিএনপি নেতা শিল্পপতি ফখরুল ইসলামের সমালোচনা করে বলেন, প্রার্থী হলে হোক, বাধা দেব না। তবে কাউকে মারবেন না। মারামারি করা ভালো নয়। তবে ল্যাঙ মেরে (পায়ের ওপর পা দিয়ে বিতাড়িত করা) দেবেন। জনগণের টাকায় তিনি (ফখরুল ইসলাম) গাড়ি বাড়ির মালিক। টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাকে এলাকাছাড়া করবেন।
কূটনৈতিকদের সমালোচনা করে কাদের মির্জা বলেন, তারা অখ্যাত হিরো আলমের পক্ষে বিবৃতি দেয়। তাদের (কূটনৈতিক) জ্ঞানের সমস্যা আছে। দেশের মানুষ এত বোকা নয় যে, তাদের কথায় কান দেবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুস প্রমুখ।
পরে কাদের মির্জার নেতৃত্বে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বসুরহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে বসুরহাট পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন