সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩৯ এএম
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কুমিল্লায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১৫, ফসলের ক্ষতি ৮৪৮ কোটি

কুমিল্লায় বন্যায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি : কালবেলা
কুমিল্লায় বন্যায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে ও ফেনীর বন্যার পানিতে মারাত্মক বিপর্যস্ত জনজীবন। আকস্মিক বন্যা জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলাতেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দিশেহারা অবস্থায় বাড়িঘর ফেলে প্রাণে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন মানুষ। জেলায় ১২ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় বন্যার পানিতে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় কৃষি বিভাগের ৮৪৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ৬৩ হাজার ৭৯৪ হেক্টর ফসলি জমি।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লায় মৃত ১৫ জনের মধ্যে বুড়িচং উপজেলায় শিশুসহ ৪ জন, তিতাসে ২ জন, নাঙ্গলকোটে ৩ জন, লাকসামে ৩ জন এবং মুরাদনগর, মনোহরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণপাড়ায় ১ জন করে মারা গেছেন।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১৪ উপজেলায় ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে ফসল আবাদ করা হয়েছিল। বন্যায় ৬৩ হাজার ৭৯৪ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফসলের মধ্যে রোপা আমন বীজতলা ৪ হাজার ৫১৫ হেক্টর ও ধান ২৩ হাজার ৩০৯ হেক্টর, শাকসবজি ২ হাজার ১৯ হেক্টর, রোপা আউশ ৩৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর, বোনা আমন ৩৩৫ হেক্টর এবং ২১৬ হেক্টর আখ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ৬৪১ হেক্টর রোপা আমন, ১ হাজার ৬১৫ হেক্টর খরিপ শাকসবজি, ২০ হাজার হেক্টর রোপা আউশ এবং ১১ হেক্টর আখ ফসলের জমি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০৪ হেক্টর শাকসবজি, ১৩ হাজার ৪৩২ হেক্টর রোপা আউশ এবং ২০৫ হেক্টর আখ ফসলের জমি।

ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে আছে ২২৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার রোপা আমন বীজতলা, ২৬৯ কোটি ৯৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকার রোপা আমন, ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শাকসবজি, ২৯৭ কোটি ৮৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার রোপা আউশ এবং ৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার আখের ফসল।

কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী কালবেলাকে জানান, কুমিল্লা জেলাজুড়ে ১২৫টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে ২ লক্ষাধিক পরিবার। জেলাজুড়ে ৭২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ও বন্যায় পানিবন্দিদের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত বয়স্ক ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য ২০৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইয়ুব মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। প্রতিদিনই বন্যার পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বন্যাপরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমি এবং কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মা ইলিশ রক্ষায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার টহল

ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির মাদকবিরোধী আলোচনা সভা

নিউমার্কেটে চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার ১

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের বিবৃতি

কক্সবাজার আদালতে বিচারকের মোবাইল-মানিব্যাগ চুরি

পাঠ্যপুস্তক ছাপার দায়িত্ব হস্তান্তর ‘মাথাব্যথায় মাথা কাটার মতো সিদ্ধান্ত’ : টিআইবি

বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

মৌসুমি বায়ুসহ আগামী ৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা

১০

এবার উপদেষ্টাদের নিয়ে মুখ খুললেন সামান্তা শারমিন

১১

ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

১২

ছক্কা মেরে ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা!

১৩

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

১৪

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

১৫

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

১৬

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

১৭

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১৮

জুলাইয়ের গাদ্দারদের সব রেকর্ড প্রকাশ করা হবে : মুনতাসির

১৯

যে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়তে রাজি নয় ইসরায়েল

২০
X