রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আবু সাঈদ হত্যায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ গ্রেপ্তার

আবু সাঈদ। পুরোনো ছবি
আবু সাঈদ। পুরোনো ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য এএসআই মো. আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে তাদের পিবিআই -এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, এই দুই সদস্য পুলিশ লাইনে নজরদারিতে ছিলেন। আজ তাদের মহানগর পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এদিকে, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে পাঠানো বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় গত ১৯ আগস্ট মামলা হয়। এই মামলায় আসামি এএসআই মো. আমীর হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদি হয়ে ১৮ আগস্ট মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

মামলায়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন, পুলিশ সদস্য সৈয়দ আমীর আলী, সুজন চন্দ্র রায়সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।

এর আগে, গত ৩ আগস্ট এই দুই পুলিশ সদস্য এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

মামলার এজাহারে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী উল্লেখ করেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই আবু সাঈদ নিরস্ত্র ও একা ছিলেন। তিনি দৃশ্যত পুলিশের জন্য কোনো হুমকি ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাকে শটগান দিয়ে গুলি করা হয়। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে একাধিকার গুলি করেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বেলা ২টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়ার নেতৃত্বে ছাত্রছাত্রীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। আবু সাঈদ পিছু না হটে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়ে এগিয়ে যান। পুলিশের সামনে এ সময় প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান হেলমেট পরে এসে আবু সাঈদকে লক্ষ্য করে ‘গুলি করুন, গুলি করুন’ বলে নির্দেশ দেন। অপর দুই আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান মণ্ডল পুলিশকে গুলি করতে প্ররোচিত করেন।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশের গুলি করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

মামলার বাদী রমজান আলী বলেন, আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য মামলা করেছি। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যারাই অপরাধী তাদের আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচার করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হংকংয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত অন্তত ৯৪

শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকায় তাপমাত্রা নেমে ১৮ ডিগ্রিতে

ভূমিকম্পের ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ মধুপুর ফল্ট, শঙ্কিত টাঙ্গাইলবাসী

২৮ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

ওয়াশিংটনে গুলিবর্ষণ, নিহত ন্যাশনাল গার্ড সদস্য

আজ টানা ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

পাকিস্তানিদের ভিসা দিচ্ছে না আমিরাত, কিন্তু কেন?

বিএনপি প্রার্থীর বহরে থাকা গাড়িতে আগুন, দগ্ধ ৪

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২৮ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

চলন্ত বাসের খোলা লকারের ধাক্কায় যুবক নিহত

১১

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

১২

পাবনায় নির্বাচনী প্রচারণায় জামায়াতের হামলার তীব্র নিন্দা বিএনপির

১৩

পুষ্টিগুণে ভরপুর রোজেল পানীয়

১৪

প্রশাসন ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক : ডিসি অন্নপূর্ণা

১৫

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

১৬

আ.লীগ নেতা মুকুল গ্রেপ্তার

১৭

বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

১৮

দলের প্রশ্নে আমরা সবাই এক : নজরুল ইসলাম আজাদ

১৯

নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে ৬০ লাখ টাকা মু‌ক্তিপণ দাবি

২০
X