টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্বৈরাচার যেন বাংলাদেশে আর ফিরে না আসে : জামায়াতের আমির

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : কালবেলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ঐক্যের মাধ্যমে যে পরিবর্তন এসেছে। যে কোনো মূল্যে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন ছিল, তা কোনো অবস্থায় যেন আবার বাংলাদেশে ফিরে না আসে, তার ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, কেউ আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাড়ে ১৭ বছর বাংলাদেশের জনগণের জীবনে ছিল দুঃসহ কালোরাত। শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে লগি বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে মানুষকে হত্যা করেছে। ফ্যাসিস্টের সূত্রপাত এখান থেকেই শুরু হয়।

বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সেনাবাহিনীর ওপর আঘাত দিয়েছে। পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ৫৪ জন সামরিক অফিসারকে হত্যা করেছে। মহিলা সদস্যদের নির্যাতিত, লাঞ্ছিত এবং হত্যা করে ড্রেনে লাশ ভাসিয়ে দিয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি। সেনাবাহিনীকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ৪২ বছর যাদের বিরুদ্ধে কোনো থানায় জিডি কিংবা মামলাও ছিল না। ৪২ বছর পরে তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরাধী অপরাধে অভিযোগ আনা হলো। মিথ্যা মামলা ও সাজানো স্বাক্ষী দিয়ে একে একে শীর্ষ স্থানীয় ১১ জনকে আমাদের বুক থেকে কেড়ে নেওয়া হলো।

শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে এমন মডেল বানালেন ও রাজপথ তৈরি করলেন গাড়ি দিয়ে রাজপথে যেতে পারলেন না। এমন রাজনীতি করলেন আপনাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হল। জাতিকে বিভক্ত করেছেন। প্রত্যক্তটি মানুষ ছিল জুলুমের শিকার। কেউ কারও বিরুদ্ধে সামান্য কথা বললেও ডিজিটাল আইনে তাদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি সাংবাদিকদেরও নির্যাতন করা হয়েছে।

জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবিব মাসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, টাঙ্গাইল শহর শাখার সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ প্রমুখ। এ সময় জামায়াতের নেতাকর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নিহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতায় দোয়া করা হয়। এর আগে সকালে টাঙ্গাইল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী, টাঙ্গাইল জেলা শাখার রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২৯ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

তারাগঞ্জে পৃথক অভিযানে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড

মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনার জামায়াত নেতা নিহত

মায়ের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে তারেক রহমান

ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা 

ডিসেম্বরের ২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩৩ হাজার কোটি টাকা

‘নির্বাচন বানচালের চক্রান্তে লিপ্তরাই দেশকে ১৭ বছরের জঞ্জালে ঠেলে দিতে চায়’ 

জাতীয় পার্টির (জাফর) নতুন মহাসচিব নওয়াব আলী আব্বাস 

জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য : আমিনুল 

উত্তরাঞ্চলে আলুর রেকর্ড, উৎপাদন এখন কৃষকদের গলার কাঁটা

১০

পদত্যাগকারীদের বিষয়ে নাহিদের বক্তব্য

১১

দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের ঘটনায় মামলা

১২

বঞ্চিত হয়েও বিএনপির নামেই মনোনয়ন কিনলেন ৫ নেতা

১৩

সাবেক এমপির বিএনপি থেকে পদত্যাগ

১৪

ভোটকেন্দ্র মেরামত ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ইসির নির্দেশ

১৫

৩০০ ফিটে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বৃক্ষরোপণ করল অ্যাব 

১৬

সাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার

১৭

ইনকিলাব মঞ্চের সড়ক অবরোধ, কক্সবাজার মহাসড়কে অচলাবস্থা

১৮

সাতক্ষীরার চারটি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা

১৯

বন্দরের অতিরিক্ত ভারী যানবাহনে বছরে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি চসিকের

২০
X