চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন

চট্টগ্রামে ডিসি-ওসিসহ ১৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত ভবন, চট্টগ্রাম। ছবি : সংগৃহীত
আদালত ভবন, চট্টগ্রাম। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে আটক করে নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রামে ১৪ পুলিশের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিরা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের আদালতে মামলাটি করা হয়।

এই মামলার আবেদন করেন মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর বড় ভাই মো. নজরুল ইসলাম। ভিকটিম নাজমুল হোসেন চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

মামলায় আসামিরা হলেন সিএমপির দক্ষিণ জোনের সাবেক ডিসি মোস্তাফিজুর রহমান, কোতোয়ালি জোনের এসি অতনু চক্রবর্তী, কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি এস.এম ওবায়েদুল হক, বাকলিয়া থানার সাবেক ওসি আফতাব উদ্দিন, কোতোয়ালী থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর (ট্রাফিক) মো. মিজানুর রহমান।

বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম, কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মেহেদী হাসান, এসআই গৌতম, বাকলিয়া থানার এসআই মো. মিজান, কোতায়ালী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুবেল মজুমদার, এএসআই রনেশ বড়ুয়া, কোতায়ালী থানার মুন্সী মো.শাহজাহান, কনস্টেবল মো. কামাল ও বাকলিয়া থানার কনস্টেবল মো. ইলিয়াছ।

মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়। পরে পুলিশ ছাত্রদের ওপর অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং রাবার বুলেট ছোড়ে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সুস্থ অবস্থায় নাজমুলকে আটক করে শারীরিকভাবে আঘাত করতে করতে পুলিশ বক্সে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ সদস্যরা লোহার স্টিক, বক্সে থাকা স্ট্যাম্প দিয়ে ভুক্তভোগীকে বেধড়কভাবে সারা শরীরে শিবির বলে পেটাতে থাকে। খবর পেয়ে নাজমুলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাকলিয়া থানায় গেলে তাকে ভয়ভীতি দেখায় পুলিশ সদস্যরা।

মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বরূপ কান্তি নাথ কালবেলাকে বলেন, আদালত এটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করে তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া সিআইডিকে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিকটিম নাজমুল হোসেন, মামলার বাদী মো. নজরুল ইসলাম ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা কেন দেওয়া হবে না, তা ১৪ দিনের মধ্যে জানাতে আসামিদের প্রতি নির্দেশ দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘একটা মার্ডার করেছি, আরও ১০০টা করব’, হত্যা মামলার আসামির হুমকি

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, অ্যাসিড নিক্ষেপে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৩

রাস্তার পাশে পড়ে ছিল ২ যুবকের লাশ

অস্ত্র নিয়ে পালাচ্ছিলেন ছাত্রদলের ২ নেতা, অতঃপর...

ইসরাইলের পিআর পদ্ধতি কেন আলেমদের আদর্শ, বুঝে আসে না : প্রিন্স

নিজ বাসভবনে মহররম অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত আয়াতুল্লাহ খামেনি

ইরান থেকে ফেরার পথে গাজায় বোমা ফেলত ইসরায়েলি বিমান

ভিআইপি রুম না পেয়ে হোটেলে ভাঙচুর করেন যুবদল নেতা মনির

কানাডার একাধিক বিমানবন্দরে বোমা হামলার হুমকি

জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : উপদেষ্টা মাহফুজ

১০

বনানীতে হোটেলে নারীকে মারধর, যুবদল নেতা মনির বহিষ্কার

১১

খতমে নবুওয়াতের বিবৃতি / উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদের বক্তব্য মানহানিকর

১২

বনানীতে যুবদল নেতার নেতৃত্বে হোটেলে হামলা, গ্রেপ্তারে চলছে অভিযান

১৩

আ.লীগকে পরবর্তী প্রজন্ম চিনবেই না : রেজা কিবরিয়া

১৪

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে দেশজুড়ে আইডিয়া প্রতিযোগিতা

১৫

ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম স্থগিত

১৬

ব্যাটারি চুরির অভিযোগে যুবদল কর্মী গ্রেপ্তার

১৭

বিড়াল ধরতে গিয়ে ১০ তলা থেকে পড়ে স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৮

বিসিএস ক্যাডারে স্থান পেলেন রাবির প্রায় ৬০ শিক্ষার্থী

১৯

আদালতে দুর্জয়কে ডিম নিক্ষেপ

২০
X