গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জামাল মোল্লা। ছবি : সংগৃহীত
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জামাল মোল্লা। ছবি : সংগৃহীত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইউপি সদস্য জামাল মোল্লার বিরুদ্ধে মসজিদের নামে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের এবং ওমেদ আলী সরদারের পাড়া জামে মসজিদের কমিটির সভাপতি তিনি।

অভিযোগ উঠেছে, জামাল মোল্লা মসজিদের উন্নয়ন বাবদ ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে থেকে উঠালেও মসজিদের কাজে ব্যয় করেছেন মাত্র দুই লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চর দৌলতদিয়া দিয়া ওমেদ আলী সরদারের পাড়া জামে মসজিদের নামে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা মসজিদের ছাদ ও মেঝে নির্মাণে টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে এই অনুদান আসে। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মসজিদের ইমামসহ স্থানীয়দের অবহিত করেন টাকার বিষয়টি।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত বলেন, মসজিদের অ্যাকাউন্ট সভাপতির নামে। তিনি কাজের সময় দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছে যে, মসজিদে অনুদান হিসেবে ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা এসেছে। বাকি টাকার হিসাব সভাপতি দিচ্ছে না।

মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার আব্দুর রহিম বাবু বলেন, আমরা ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা পাওয়ার কথা শুনেছি। তবে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল মোল্লা আমাদের ২ লাখ টাকার হিসাব মসজিদে দিয়েছে। বাকি টাকার বিষয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মণ্ডল ও সদস্য জামাল মোল্লা বলেছেন, টাকা নয় মেম্বারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জামাল মোল্লা জানান, মসজিদ উন্নয়ন বাবদ ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। দুই লাখ টাকা মসজিদের উন্নয়ন বাবদ খরচ করলেও বাকি টাকা তার কাছে ছিল। কিন্তু তার বাড়িতে ডাকাতি হলে ওই টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে। পুলিশ কয়েকজন আসামিকে আটক করেছে। বাকি আসামি আটক হলে এবং সেখান থেকে টাকা পেলে তিনি টাকা ফেরত দেবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মণ্ডল বলেন, উপজেলা ইউএনও স্যারের মাধ্যমে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে টাকা গেছে তারাই খরচ করেছে। এর বেশি আমি কিছু জানি না।

গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাইদ মণ্ডল বলেন, টিআর প্রকল্পের ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা দেওয়ার পর আমরা সেখানে গিয়ে ইমাম সাহেবসহ মসজিদ কমিটির সবাইকে অবহিত করেছি। তাছাড়া টাকা দেওয়া হয়েছিল মসজিদের ছাদ ও মেঝে নির্মাণের জন্য। সেটা নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সভাপতি মসজিদ কমিটিকে সম্পূর্ণ টাকা বুঝিয়ে দিচ্ছে না এ বিষয়টি আমরা শুনেছি।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র কালবেলাকে বলেন, মসজিদ উন্নয়নের টাকা নয় ছয় করার কোনো সুযোগ নেই। আমি পিআইওর সঙ্গে কথা বলে খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ থেকে ঘরে বসেই মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করবেন যেভাবে

‘পরিমার্জিত’ শান্তি পরিকল্পনায় একমত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন 

প্রাণ গ্রুপে বড় নিয়োগ, লাগবে না অভিজ্ঞতা 

চোর সন্দেহে শাহিনকে গণপিটুনি, অতঃপর...

অনলাইনে ইসরায়েলের পক্ষে কার্যকলাপের দায়ে ৮ বছরের কারাদণ্ড

ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা কেমন থাকবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২৫ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

অবসর নিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক

১০

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার বিএনপির দুই নেতার

১১

ভূমিকম্প: প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ, ভাঙা হবে ২৪ ভবন

১২

পর্তুগালের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ব্রাজিল

১৩

‘এলডিসি উত্তরণ ও বন্দর নিয়ে কেবল নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে’

১৪

দেশের ৮১ সরকারি কলেজ স্থান পেল ‘এ’ ক্যাটাগরিতে

১৫

স্ট্রোক করে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৬

চলন্ত ট্রেনে পপকর্ন বিক্রেতাকে হত্যা

১৭

আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, গ্রেপ্তার ২৪

১৮

বস্তিবাসীর জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও স্থায়ী পুনর্বাসনের আশ্বাস আমিনুল হকের

১৯

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে: সাকি

২০
X