কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কক্সবাজারে ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন জেলেরা

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশে সয়লাব। ছবি : কালবেলা
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশে সয়লাব। ছবি : কালবেলা

অবশেষে রুপালি ইলিশের দেখা মিলেছে। ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন কক্সবাজারের জেলেরা। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র স্বাদের ইলিশে সয়লাব হয়ে গেছে। কেন্দ্রজুড়ে কোটি কোটি টাকার ইলিশ বেচাবিক্রি হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞা শেষে ৩ নভেম্বর মধ্যরাতের পর সাগরে নামা জেলেরা ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন। তিন-চার দিন ধরে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়লেও রুপালি ইলিশের দেখা তেমন মেলেনি। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর থেকে শত শত ফিশিং ট্রলার ইলিশের বহর নিয়ে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরে এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইলিশ ধরার বড় ও মাঝারি ট্রলারগুলো মাছ ভর্তি করে ফিরে আসায় ঈদের খুশি বিরাজ করছে মাছ ব্যবসায়ী ও জেলে পরিবারে।

মৎস্য ব্যবসায়ী ও ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে আসা ট্রলারে এতদিন পাঁচ মিশালি মাছের আধিক্য ছিল। এসব ট্রলারে লাল পোপা, কালো পোপা, মাইট্টা, চামিলা, রূপচাঁদা, টেকচাঁদা, কালো চান্দা, তাইল্যা, সামুদ্রিক কোরাল, চিংড়ি, ছুরি, গুইজ্জাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়েছে। তবে আজ ঘাটে ফিরে আসা ফিশিং ট্রলারে এসব মাছের আধিক্য কম, শুধু ইলিশ আর ইলিশ।

কক্সবাজার শহরের ৬ নম্বর ফিশারি ঘাটের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন পর এই ঘাটে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের এই ঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকভর্তি মাছ নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে কক্সবাজার সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা শওকত উসমান ফারুক বলেন, জেলেরা ২২ দিনের সরকারি নির্দেশনা মেনে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ায় সুফল পেয়েছেন। ঘাটে ট্রলারভর্তি ইলিশে ফিরেছেন জেলেরা। এটাই কক্সবাজারের মৎস্য শিল্পের স্বাভাবিক সৌন্দর্য।

সাগরে মাছ আহরণে যাওয়া জেলে ছৈয়দ আলম জানান, আমরা অনেক খুশি। সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে।

ফিশারি ঘাটে খুচরা মাছ কিনতে যাওয়া ক্রেতা সাহেদুজ্জামান বাহাদুর জানান, বিগত কয়েক বছর কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে এ রকম ইলিশ দেখিনি। মনের সুখে আজ একাই ৩০টি ইলিশ কিনলাম। দামও অনেক কম।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন সময়ে মাছ ধরায় ৬৫ ও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় এর সুফল ভোগ করতে পারছেন জেলে ও ট্রলার মালিকরা।

তিনি আরও বলেন, সাগরে এখন ইলিশ ও অন্যান্য মাছ আকারে যেমন বড় হচ্ছে, তেমনি উৎপাদনও বাড়ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গলতে গলতে পুরোপুরি বরফশূন্য হয়ে পড়ছে ভেনেজুয়েলা

অপরাধী গ্রেপ্তার না হওয়ায় রহুল কবির রিজভীর ক্ষোভ

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

কূটনৈতিক সাংবাদিকতা পররাষ্ট্রনীতিকে শক্তিশালী করছে : পররাষ্ট্র সচিব

রাষ্ট্র গভীর সংকটে, উদ্ধার করতে পারে একমাত্র বিএনপি : ঢাকা-১০ আসনের প্রার্থী

ফয়সালের দেশের বাইরে চলে যাওয়ার তথ্যের বিষয়ে যা বলছে পুলিশ

দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জোনায়েদ সাকির

জকসু নির্বাচন সামনে রেখে উচ্চপর্যায়ের সভা ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

কোটি মানুষের সংবর্ধনায় তারেক রহমানকে বরণ করা হবে : ইশরাক

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে যুবদলের ‘স্বাগত মিছিল’

১০

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর / লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের স্বচ্ছতায় কর্মীদের শরীরে ক্যামেরা

১১

ঢাকা-১৬ আসনে মনোনয়ন ফরম নিলেন এনপিপির প্রার্থী সুমন

১২

সংবাদমাধ্যমে হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

১৩

দীপু দাসের লাশকে ঝুলিয়ে পোড়ানোর ঘটনা আতঙ্ক তৈরি করেছে : সাইফুল হক

১৪

এথিকাল মাইগ্রেশনে সার্বিয়ায় ১১ কর্মী পাঠালো এশিয়া কন্টিনেন্টাল

১৫

একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে : যুবদলের সভাপতি

১৬

ফয়সাল ও সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

১৭

যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলার কোনো বিকল্প নেই : মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

১৮

অস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার সাবেক মেয়র

১৯

মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

২০
X