মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পাহাড়ে কনকনে শীত

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় কুয়াশার চিত্র। ছবি : কালবেলা
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় কুয়াশার চিত্র। ছবি : কালবেলা

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। বইয়ের পাতায় শরৎকাল হলেও প্রচণ্ড শীতে জবুথবু এ এলাকার মানুষ। বিকেল থেকেই কুয়াশায় মুখ ঢেকে যায় পাহাড়ের আঁকাবাঁকা মাঠঘাট, মেঠোপথ। রাতভর টুপটাপ শব্দে ঝরছে কুয়াশা। কুয়াশা কেটে দেরিতে উঁকি দিচ্ছে সকালের সূর্য। কথিত আছে অতি গাছপালায় নাকি শীত থাকে বেশি। তাই হয়তো গ্রামে শীত অনুভূত হয় বেশি।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মাটিরাঙ্গায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দীঘিনালা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে চরম শীতেও বসে নেই কৃষকরা। কষ্টার্জিত সোনালি ধান কেটে ঘরে তোলার প্রক্রিয়াও প্রায় শেষের দিকে। এ ছাড়া গত বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠে এ বছর বাম্পান ফলন হয়েছে।

অন্যদিকে তীব্র শীতে মাটিরাঙ্গা বাজারের একাধিক স্থানে বিক্রি হচ্ছে বাহারি রকমের শীতের পিঠা। বেশ আগ্রহভরে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে পিঠা খাবার স্বাদ নিচ্ছেন অনেকে। এছাড়াও শীত থেকে বাঁচতে শরীরে গরম কাপড় জড়াতে কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। শীতের তীব্রতায় হতদরিদ্র ও অসহায় শীতার্ত মানুষগুলো কষ্ট পাচ্ছেন। তবে সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ এখনো শুরু হয়নি।

চড়পাড়ার কৃষক গণি মিয়া জানান, শীতের মধ্যে কাজে যেতে মন চায় না। তাছাড়া দিন ছোট বিধায় গৃহস্থরা কাজে নিতে চায় না। তবে ক্ষেতে-খামারে পানিতে কাজ করলে সর্দি লেগে পরের কদিন কাজে যেতে পারি না।

দীঘিনালা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুজুতি চাকমা জানান, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) মাটিরাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারও সেটা অপরিবর্তিত। আজ আকাশ কিঞ্চিত মেঘলা হওয়ায় দিনের শেষ দিকে ২-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। মেঘলা ভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে শীত আরও বাড়বে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মিল্টন চাকমা বলেন, তীব্র শীতে সর্দি-কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, হাঁচি, অ্যাজমা, হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। তাই এসব রোগে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। একইসঙ্গে শিশু ও বয়স্কদের গরম কাপড় পরিধান করতে হবে। শরীরে শক্তি জোগায় এমন খাবার খেতে হবে। আর যে কোনো জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২১ নাকি ২২ ক্যারেট সোনা ভালো? আসল-নকল চিনবেন যেভাবে

চবি শিক্ষার্থী খুন, বাবা ও সৎ মা গ্রেপ্তার

চাকসুর প্রীতিলতা হলে ছাত্রী সংস্থার প্যানেল ঘোষণা

নওগাঁয় কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ দুজন গ্রেপ্তার

ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য : সৈয়দা রিজওয়ানা

তৃণমূলের শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের পাশে মজিদ মল্লিক ফাউন্ডেশন

দুর্গাপূজাকে ঘিরে কুমিল্লায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা : পুলিশ সুপার

মারা গেছেন চিত্রনায়িকা বনশ্রী

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ মোবাইলে দেখবেন যেভাবে

হোন্ডার দায়িত্ব ছেড়ে দায়িত্ব নিলেন স্ত্রীর সহকারী হিসেবে

১০

সন্তানের পাপের কারণে কি মা-বাবারও শাস্তি হবে?

১১

জুলাই সনদের আলোকে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জাগপার

১২

এবার এরদোয়ানের পতন ঘটাতে তুরস্কে বিক্ষোভ

১৩

প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি

১৪

রাজহাঁসের দখলে শহর, তাড়াতে খরচ কোটি কোটি টাকা

১৫

জিএসএসসিপি দেখাল সাপ্লাই চেইনের নতুন দিগন্ত

১৬

সাকিবকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে লিটন

১৭

তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বিশ্বে দ্বিতীয় বাংলাদেশ 

১৮

হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ

১৯

এবার এনসিপি নেত্রীর পদত্যাগ 

২০
X