নোয়াখালী ব্যুরো
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী হত্যা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

নোয়াখালীতে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সাত নেতাকর্মীর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি : কালবেলা
নোয়াখালীতে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সাত নেতাকর্মীর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি : কালবেলা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সাত নেতাকর্মীর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বুসরহাট জিরো পয়েন্টে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়েত ইসলামী এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমির মাওলানা মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াছিন আরাফাত।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এখন প্রতিহত করতে হবে। এ সময় বক্তারা সাত নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে সাত শহীদকে স্মরণ করেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা নিজাম উদ্দীন ফারুক, মাওলানা সাইয়েদ আহমদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আলমগীর মুহাম্মদ ইউছুফ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ইসমাঈল হোসেন মানিক, কবিরহাট উপজেলা জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলাম মিলন, ঢাকায় কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকায় কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জহির উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হেদায়েত উল্যাহ মাসুদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে বসুরহাট বাজারের উপজেলা মসজিদ গেটে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে : ফারুক

ভক্তদের প্রতি দুঃখপ্রকাশ করেছে আর্টসেল

খুলনা কারাগারে সংঘর্ষে তিন আসামিকে কাশিমপুরে

কুবির আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইউল্যাব শিক্ষার্থীদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন

রাজশাহীতে ব্যবসায়িক পার্টনারের বিরুদ্ধে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ

নাশকতার পরিকল্পনা, আ.লীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে মারামারি-কাটাকাটি কিছুই থাকবে না : ফয়জুল করীম

কোরআন পাঠে শ্রেষ্ঠদের হাতে ওমরাহসহ ১৫ লাখ টাকার পুরস্কার দিল আস-সুন্নাহ

দুবার গাজা ধ্বংস হতে দেখা বৃদ্ধ আয়িসের করুণ গল্প

১০

ইউরোপ যেতে সাঁতরে সাগর পাড়ি দিলেন মা ও ১০ বছরের সন্তান

১১

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে জয়

১২

বিভাজনের রাজনীতি করে দেশকে ভালোবাসা যায় না : ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

১৩

যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণের ঐক্যের সামনে ভেসে যাবে : ডা. জাহিদ

১৪

দেশে একাধিক অগ্নিকাণ্ড, সচিবালয়ে জরুরি বৈঠক

১৫

হাসপাতালে ভর্তি পরিণীতি চোপড়া!

১৬

পুরোপুরি নিভে গেল বিমানবন্দরের আগুন : ফায়ার সার্ভিস

১৭

শাপলা ইস্যুতে এনসিপির ৫ দাবি ও ২ যুক্তি

১৮

যে সময়ে দোয়া করলে আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না, জানালেন বিশেষজ্ঞ আলেম

১৯

আত্মসমর্পণের পর চকবাজার থানা যুবদল নেতা সজিব কারাগারে

২০
X