পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘পাইকগাছায় বছরে একবার জরিমানা দিলেই ইটভাটা বৈধ, লাইসেন্স লাগে না’

ইটভাটা। ছবি : কালবেলা
ইটভাটা। ছবি : কালবেলা

সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে খুলনার পাইকগাছায় ১৫টি ইটভাটার কার্যক্রম চলছে পুরোদমে। কর্তৃপক্ষের নেই কোনো নজরদারি। ভাটা মালিক বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে মিথুন জানান, কিছু জরিমানার টাকা দিলেই আর কোনো সমস্যা থাকে না। এ কারণে সে টাকা আগে থেকেই রেডি করে ভাটার কাজ শুরু করি।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী আদালতের উদ্যোগে প্রতি বছর ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়। তাতে ভাটা মালিকরা খুশি, এদিয়েই বৈধতা পাচ্ছে।

এসব ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, কৃষিজমি ও নদী থেকে কাটা হচ্ছে মাটি। কোনো কোনো ভাটা মালিকের সঙ্গে কথা হলে জানান, ‘জরিমানার টাকা দিলেই সবকিছুই বৈধ’। উপজেলার চাঁদখালী, গদাইপুর, রাডুলী ও হরিঢালীতে ১৫টি ইটভাটা কৃষিজমিতে অবস্থিত, প্রায় সবগুলোই জনবসতি এলাকা প্রতিষ্ঠিত।

নিষিদ্ধ জায়গা যেমন- কৃষিজমি, নদীর চর থেকে কাটা হচ্ছে মাটি। পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ভাটায় বসানো হয়েছে করাত কল। বেশিরভাগ ভাটার নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স। এদিকে ধোঁয়ার কুণ্ডুলিতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।

পরিবেশ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে ও বনাঞ্চল থেকে ২ কিলোমিটার দূরত্বে ভাটা স্থাপনের কথা। কিন্তু এসব নীতিমালা সর্বক্ষেত্রে উপেক্ষিত। প্রায় প্রত্যেকটি ইটের ভাটার পাশে সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার ও ব্যস্ততম সড়ক অবস্থিত।

পাইগাছায় স্থাপিত ভাটাগুলো হলো- হরিঢালীর মাহবুবুর রহমান রঞ্জুর দুটি ভাটা। যমুনা ব্রিকস ১ ও ২, গদাইপুর মুজিবুর রহমানদেরন যৌথ ফাইভ স্টার, ফতেমা রহমানের এফএফবি, চাঁদখালীর নাজমুল হুদা মিথুনের এসএমবি, মহিউদ্দিন খানের বিএকে, বাদশা খানের খান ব্রিকস, মুনছুর গাজীর এস এম ব্রিকস, আব্দুল হালিমের স্টার ব্রিকস, আব্দুল মান্নান গাজীর বিবিএম ব্রিকস, আব্দুল জলিলের এডিবি ব্রিকস, শহাজাদা ইলিয়াসের এমএসবি ব্রিকস, সিরাজুল ইসলামের এসবিএম ব্রিকস, শফিকুল ইসলামের এমবিএম ব্রিকস, রাডুলী ইউনিয়নের সীমান্তে মিনারুল ইসলাম ও ডালিম সরদারের ইটের ভাটা।

ভাটা মালিক মিঠু জানান, তিন বছর যাবৎ পরিবেশের কোনো ছাড়পত্র পাইনি, লাইসেন্স নেই। তবে সরকার আমাদের কাছ থেকে আয়কর ও ভ্যাট আদায় করছে। এরপরও কয়েকবার আমাদের জরিমানা করা হয়েছে।

ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহেরা নাজনীন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের সহযোগিতায় এসব জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

নোয়খালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

‘বিষাক্ত মদ’ পানে সংরক্ষিত ইউপি সদস্যের স্বামীর মৃত্যু

বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, বৃষ্টি নিয়ে নতুন তথ্য

ঢাকা উত্তর সিটিতে জন্মনিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েড টিকা মিলবে

শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারতে খালেদা জিয়া

জাতীয় পর্যায়ে রানার্স আপ নারী ফুটবল দলকে গণসংবর্ধনা

দুই বছর আগের মামলায় নতুন করে ‘আসামি’ সাংবাদিক

১০

বদলির আদেশের ৩ সপ্তাহ পরও অফিস করছেন রাসিক সচিব

১১

অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ মারা গেছেন

১২

চার দিন ধরে নিখোঁজ বিকাশ কর্মী ওমর ফারুক

১৩

ওসির বিরুদ্ধে দুর্বল ধারার অভিযোগ, আ.লীগ নেতার ৩ সন্তানের জামিন

১৪

বরিশালে মা ইলিশ রক্ষায় নৌবাহিনী, চার দিনে ১০৪ জেলের কারাদণ্ড

১৫

উচ্ছেদের পর অবৈধ স্থাপনার বৈধতা দিতে তোড়জোড়

১৬

ধর্ষণের আলামত গায়েব, ওসিসহ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

১৭

সীমান্তে দেড় কোটি টাকার কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার

১৮

রাজধানীতে যুবলীগ নেত্রী লাবণ্য ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আমির হামজা গ্রেপ্তার

১৯

কাঁচা নাকি পাকা পেঁপে, কোনটি ভালো জেনে নিন

২০
X