শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ্মা-মেঘনায় ২ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ

পুরোনো ছবি।
পুরোনো ছবি।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিতে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনাসহ ৬টি নদী অঞ্চল শরিয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলায় দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার পর থেকে আগামী মার্চ-এপ্রিল দুই মাস সব ধরণের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকাবে। যা চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

এদিকে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময় নৌকা ও জালের মেরামত কাজ সারতে অনেক জেলেই নিয়েছেন প্রস্তুতি। দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেরা পাবেন খাদ্য সহায়তার চাল। তবে সরকারি খাদ্য সহায়তা অপ্রতুল বলে দাবি জেলেদের।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও নদীতে জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিতে ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে সব প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার। নিষেধাজ্ঞার এ সময় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভেরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় জাল ফেলা, মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা টাস্কফোর্স।

দুই মাস নিয়মিত জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান পরিচালনা করবে। অন্যদিকে, অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নিবন্ধিত ৪০ হাজার জেলেকে চার কিস্তিতে ১৬০ কেজি করে চাল করে চাল দেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে ধরা পড়লে কমপক্ষে এক বছর থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার পুরান বাজার রনাগোয়াল এলাকার মেঘনা পাড়ের জেলে সফিক ও আবদুর রহমান জানান, সরকার দুই মাস মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সেই আদেশ আমরা মানবো। এরইমধ্যে নৌকা-জাল ওপরে উঠানোর প্রন্তুতি চলছে। সরকারের কাছে সবসময় দাবি থাকে, যাতে চালের সঙ্গে আর্থিক সহায়তা করে। কারণ চালের পাশাপাশি রান্না করতে তেল নুন, তরকারিসহ আনুষাঙ্গিক জিনিসের দরকার হয়।

জেলেরা আরও বলেন, অধিকাংশ জেলে ধার দেনা ও কিস্তিতে জর্জরিত। এ সময়ে কিস্তি বন্ধ থাকলে আমরা উপকৃত হবো। প্রশাসন যদি কিস্তি বন্ধ রাখে আমাদের চাপ কমে আসবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, জাটকা রক্ষায় জেলে পাড়াগুলোতে প্রচার প্রচারণা সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া তাদের জন্য নির্ধারিত বিজিএফএর চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের মতই জাটকা রক্ষা অভিযান কঠোর হবে। অভয়াশ্রমে অসাধু জেলেরা যাতে কোনভাবেই নদীতে নামতে না পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে যাতে তাদের কিস্তির চাপ না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টানা ৯ ঘণ্টা সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না শনিবার

রাতের আঁধারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’

ধানের শীষের জাগরণে ঐক্যবদ্ধ গণমিছিল

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল পুলিশ সদস্যসহ ২ জনের

রাজশাহীতে ৬০ হারানো ফোন ফিরিয়ে দিল পুলিশ

বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের ৪ নেতা বহিষ্কার

চবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘সামুদ্রিক মৎস্য ও নীল উদ্ভাবন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

অবৈধ ফোন বেচাকেনা নিয়ে বিটিআরসির নির্দেশ

সংরক্ষিত বনের গাছ বিক্রির অভিযোগ বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

১০

আইপিএলে দল পেলেন না বাংলাদেশের কেউই

১১

‘১০ লাখ মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর একই’

১২

প্রতিবন্ধী নারীর ভাতার টাকা যায় আ.লীগ নেতার পকেটে

১৩

নির্বাচন করবেন কি না জানালেন প্রেস সচিব

১৪

আবারও পেছাল বিপিএল

১৫

যে গ্রামে শত বছর ধরে টিকে আছে শাঁখারি শিল্প

১৬

শয়তানের নিশ্বাস ছড়িয়ে ধর্ষণ

১৭

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ইয়াবা পাচারকালে ধরা

১৮

মগবাজারে বহুতল ভবনে আগুন

১৯

ফজলুর রহমানের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

২০
X