সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

উঠানে বাবার মরদেহ, সম্পত্তি ভাগাভাগিতে ব্যস্ত ৯ সন্তান

সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সালিশে উপস্থিত এলাকাবাসি। ছবি : কালবেলা
সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সালিশে উপস্থিত এলাকাবাসি। ছবি : কালবেলা

বাড়ির উঠানে বাবার মরদেহ রেখে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সালিশে ব্যস্ত ৯ সন্তান। বুধবার (২৬ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে মৃত্যু হলেও এদিন রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ির উঠানে পড়ে ছিল বৃদ্ধ বাবার মরদেহ।

সালিশ শেষে ১৬ ঘণ্টা পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মেম্বার ও এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে মরদেহের দাফন করা হয়। সন্তানদের এমন কীর্তি দেখে হতবাক হয়েছে গ্রামবাসী।

ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান বিশ্বাস (৭২)। তিনি একজন কৃষক ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, মৃত হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের চার স্ত্রী ও ৯ সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছোট স্ত্রী ও তার ছোট ছেলে সোহেল বিশ্বাসের সঙ্গে কোটা গ্রামে বসবাস করতেন। মৃত্যুর পূর্বে ছোট স্ত্রীর নামে ৮৩ শতাংশ জমি লিখে দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকবার সালিশের আয়োজন করেছিল অন্য স্ত্রী ও সন্তানরা। কিন্তু সিদ্ধান্তের বিষয়ে অটল ছিলেন তিনি।

বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের মৃত্যুর খবর শুনে সকালে বাড়িতে আসেন ছেলে আতাউর রহমান, সুমন, আনোয়ার ও হাফিজুর। জমিজমার বিরোধ না মেটা পর্যন্ত বাবার মরদেহ দাফন করতে বাধা সৃষ্টি করেন তারা। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মেম্বার ও এলাকাবাসীকে ডেকে বাড়ির উঠানের এক পাশে সালিশ বসানো হয়। এসময় উঠানে খাটিয়ার ওপর মরদেহ পড়ে ছিল।

মৃতের ছোট ছেলে সোহেল বিশ্বাস বলেন, বাবার কবর পর্যন্ত খুঁড়তে দেয়নি। আমার মায়ের নামে লিখে দেওয়া ৮৩ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ৫০ শতাংশ সৎ ভাইদের নামে লিখে দেওয়ার শর্তে মুচলেকা দেওয়ার পর কবর খুঁড়তে ও দাফন করতে দেয় তারা। মৃত্যুর ১৬ ঘণ্টা পর বাবার মরদেহ দাফন করতে হয়েছে। আল্লাহ ওদের বিচার করবেন।

সালিশে উপস্থিত ইউপি মেম্বার কামরুজ্জামান মজুমদার কালবেলাকে বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধ সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়েছে। রাত ১০টার পর মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চলিশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সানা আব্দুল মান্নান কালবেলাকে বলেন, মরদেহ ফেলে রাখার ঘটনা দুঃখজনক। বিষয়টি জানার পর আমার প্রতিনিধি, মেম্বার ও এরাকাবাসী সালিশের মাধ্যমে তাদের পারিবারিক সমস্যার মীমাংসা করেছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তসহ আরও যা আছে নতুন এমপিও নীতিমালায়

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে : বুলবুল

সময়মতো স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া আমাদের মৌলিক অধিকার : মাসুদুজ্জামান

‎জকসু নির্বাচন / প্রার্থীদের ডোপটেস্ট আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর

ডিসেম্বরের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার 

সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনের ‎বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা

ডা. আসিবুলের বেতন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না : আদালত

আইজিপির অপসারণ ও বিচার চাইলেন পিন্টুর স্ত্রী

নিবন্ধনহীন নারী রাষ্ট্রের চোখে অদৃশ্য : নারীর অধিকার সুরক্ষায় শতভাগ নিবন্ধন জরুরি

চট্টগ্রামে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে ব্যারিস্টার মীর হেলাল

১০

কালবেলার অনুসন্ধানে ধরা হানিট্র্যাপ চক্র, আটক ২

১১

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ নেতাকে শোকজ

১২

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি

১৩

‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে’

১৪

আরএমপির ১২ থানায় ওসি পদে রদবদল

১৫

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন নিয়ে অসন্তোষ

১৬

খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য আইইবিতে দোয়া মাহফিল

১৭

৩২ হাজার সহকারী শিক্ষককে দুঃসংবাদ দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৮

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সোমবার

১৯

যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা নিয়ে ‘সুখবর’ দিলেন সারাহ কুক

২০
X