নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভুল ইনজেকশনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে বিক্ষোভ

শাহরিয়ার মাহমুদ আবির। ছবি : সংগৃহীত
শাহরিয়ার মাহমুদ আবির। ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল ইনজেকশন পুশ করায় এক প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল বন্ধ ও চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) উপজেলার বসুরহাট বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

মৃত্যু হওয়া ওই যুবকের নাম শাহরিয়ার মাহমুদ আবির। তিনি উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সানাউল্যাহ বাহারের ছেলে। তিনি আবুধাবি থাকতেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই হাসপাতালে আবির ওই যুবককে ভুল ইনজেকশন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার বিকেলে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

আবিরের ছোট ভাই ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন বলেন, আবির গত বৃহস্পতিবার আধুধাবি থেকে বাড়িতে আসেন। তাৎক্ষণিক তার হালকা ডায়রিয়া ও জ্বর দেখা দিলে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় ডিউটি ডাক্তার বেলায়েত হোসেন মাহমুদ তার শরীরে একটি ইনশেকজন পুশ করেন। এতে তার ভাইয়ের চোখ-মুখ লাল হয়ে শরীরে জ্বালাপোড়া শুরু হয় এবং প্রেশার একবারে কমে যায়। পরে তার অবস্থা খারাপ দেখে রাত ৮টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রেফার্ড করে দেয়। এরপর তাকে ফেনীর জেড ইউ হসপিটালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঢাকার বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ইমন বলেন, প্রেসক্রিপশন দেখে ভুল ইনজেকশনে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমরা অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবি জানাই।

এদিকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের এমডি আ ফ ম আব্দুল হক অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘অভিযোগ যারা করেছে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলে কিছুই বুঝবে না। রোগীর বমি ছিল ও আগে থেকেই প্রেশার একেবারে ডাউন ছিল। তখন আমাদের ডিউটি ডাক্তার স্যালাইন, ইনজেকশন দিয়ে তাকে ভর্তি দেয়। পরে আমাকে রোগীর ভর্তির বিষয়টি জানানো হয়। আমি রোগী দেখতে গেলে দেখি রোগীর প্রেশার একেবারে ডাউন, নেই বললেই চলে, অস্থিরতা করছে। অনেক সময় ডেঙ্গুর শক থেকেও এমনটা হতে পারে, যা মাথায়ও ইফেক্ট করতে পারে। রোগীর মামাও লোকাল ডাক্তার। রাত ৮টার দিকে রোগীর একটু প্রেশার বাড়ে এবং স্টেবল হলে রোগীর স্বজনরা তাকে ফেনী নিয়ে যায়।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজার ফুটবল পুনর্গঠনে সহায়তার অঙ্গীকার ফিফা সভাপতির

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে আবার রেকর্ড

কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশ

চাকসু নির্বাচন / ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থীকে সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন এক প্রার্থী

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

বিয়েতে বন্ধু না আসায় কবুল বলেনি বর

চাটুকারিতাকে যেভাবে পররাষ্ট্রনীতিতে রূপ দিলেন শেহবাজ শরিফ

ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য শরিয়াভিত্তিক হাউস-কার লোন চালুর পরামর্শ আহমাদুল্লাহর

আগামীর নেতৃত্বে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১৩ কর্মকর্তার-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা

১০

৪৯তম বিশেষ বিসিএসে অংশ নেননি ৪১ শতাংশ পরীক্ষার্থী 

১১

মাদাগাস্কারের ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী

১২

কালবেলার সাংবাদিকের বাবার মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল

১৩

জুলাই আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিল তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্ররা : ভিপি সাদিক

১৪

রাকিবের গোলে হংকংয়ের মাঠে বাংলাদেশের ড্র

১৫

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যু

১৬

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ল

১৭

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মিয়ানমার নাগরিক নিহত

১৮

গাজা শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করল যুক্তরাষ্ট্র-মিসর-কাতার-তুরস্ক

১৯

নাগরিক সংলাপে বক্তারা / বিআরটিএর সেবা বেসরকারি খাতে দেওয়া উচিত হবে না 

২০
X