যশোরের মনিরামপুরে স্কুলশিক্ষিকাকে পেটানোর ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে সেই যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে। রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মনিরামপুর পৌর শাখার সভাপতি লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ নোটিশ যুবলীগ নেতার বাড়িতে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মনিরামপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড (দূর্গাপুর) যুবলীগের সভাপতি।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছালিমা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও সম্মানহানীর অভিযোগ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। যা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো নেতা করতে পারেন না। এসব কর্মকাণ্ড দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। গঠনতন্ত্রের ২২ (ক) অনুচ্ছেদ মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশক্রমে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন দায়িত্ব পালন করছিলেন শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার। এ সময় দূর্গাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল ইসলাম শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত বেসিনের ট্যাপ খোলার চেষ্টা করছিল। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীকে শাসন করেন তিনি। এরপর ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে নালিশ করে। মুহূর্তের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিজানুর রহমান বিদ্যালয়ে আসেন। এ সময় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকা ছালিমা আক্তারকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত করেন অন্যান্য শিক্ষকরা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইসমত আরা পারভীনসহ সংশ্লিষ্টরা। ঘটনার দিন ওই শিক্ষিকা মিজানুর রহমানকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৮। সেই মামলায় গত বৃহস্পতিবার মিজানুরকে পুলিশ আটক করে আদালতে পাঠায়।
মন্তব্য করুন