চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকতে জোয়ারের পানিতে গোসল করতে নেমে ছবি তোলার সময় নিখোঁজ হওয়া সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
রোববার (১৮ মে) সকাল ১০টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ফিরোজ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত সিফাত কক্সবাজারের ইনানী বিচ এলাকার সেফটখালী গ্রামের আমানউল্লাহর ছেলে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সিফাত বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র উপকূলে বেঁড়িবাধ সংস্কারে জেনেসিস ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু শনিবার কাজে যোগ না দিয়ে দুই বন্ধু মিলে সমুদ্রে গোসল করতে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা বন্ধুকে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে বলে জোয়ারের পানিতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও সিফাতকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন তার বন্ধু।
আরও জানা গেছে, বিষয়টি কুমিরা ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে ঘটনাস্থলে গেলেও ডুবুরি দল না থাকাতে তাৎক্ষণিক উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু সমুদ্রের আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালালেও সমুদ্র থেকে বালু উত্তোলন করার কারণে গভীরতা বেশি হওয়ায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হওয়া তরুণ যেখানে গোসল করতে গিয়েছিল ওই স্থান থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে ডুবুরিরা তাকে উদ্ধার করেন।
কুমিরের ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ফিরোজ মিয়া বলেন, শনিবার নিখোঁজ কিশোরের সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ডুবুরি দল সাড়ে ৬টায় এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করি। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে রাত সাড়ে ৭টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ফিরোজ মিয়া আরও বলেন, আজ সকালে পুনরায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে সে নিখোঁজ হওয়া স্থান থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে ভেসে উঠে। ময়নাতদন্ত ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে পরিবারকে নিহতের মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন