চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় পুত্রবধূকে বেধড়ক পেটানোর পর ‘মৃত ভেবে’ পালিয়ে গেছেন শ্বশুর-শাশুড়ি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (১৮ মে) সকালে উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের চাকলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত ওই পুত্রবধূর নাম জিয়াসমিন (৩২)। তিনি একই গ্রামের আতিকুল ইসলামের স্ত্রী ও মির্জাপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিন জুমুর কন্যা।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর সাইদুর রহমান মিয়া (৭০) ও শাশুড়ি আয়েশা বেগম মিলে পুত্রবধূ জিয়াসমিনকে বেধড়ক পেটান। পেটানোর এক পর্যায়ে জিয়াসমিন জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে পালিয়ে যান তারা। পরে প্রতিবেশীরা তা জানতে পেরে জিয়াসমিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আহত জিয়াসমিনের পরিবার জানায়, বিগত ২০ বছর ধরে নানা কারণে শ্বশুর-শাশুড়ির হাতে সে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হলেও থামেনি এই অমানবিক নির্যাতন।
এ ঘটনায় গ্রামে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রতিবেশীরা বলেন, দুজনই (শ্বশুর-শাশুড়ি) হজ করে এসে যদি মানুষ না হন, তাহলে তা আমাদের সমাজের জন্য লজ্জাজনক। একজন নারীর প্রতি এমন আচরণের কোনো অধিকার নেই তাদের। অভিযুক্তদের অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন। তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া কালবেলাকে জানান, এটি একটি পারিবারিক কলহ থেকে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এক পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, অন্য পক্ষও অভিযোগ দিতে পারে। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মন্তব্য করুন