ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে আইন বিভাগে পড়ার স্বপ্ন মলিন মোস্তাফিজুরের

মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি : কালবেলা
মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি : কালবেলা

মোস্তাফিজুর রহমান ৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় সম্মান শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু অর্থাভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ভর্তির সেই সুযোগ। ছেলের এই অনিশ্চয়তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দিনমজুর বাবা খোরশেদ আলম ও মা মুছুদা খাতুন। দিনাজপুরের পার্বতীপুরের আনন্দবাজার গ্রামের বাসন্দিা তারা। ছেলের ভর্তির সহায়তার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, খোরশেদ-মুছুদা দম্পতির তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান সবার ছোট। বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। পাঁচ শতকের বসতভিটা ছাড়া জমিজিরাত বলতে কিছুই নেই তাদের। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও মোস্তাফিজুর রহমান এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। স্নাতক (অনার্স) ভর্তি পরীক্ষায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাজি মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়ার ইচ্ছা। কিন্তু অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছেন না।

জানা যায়, মোস্তাফিজুর রহমান সম্মান ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সম্মান (অনার্স) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৯তম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩০ তম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮৮তম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৯৫ তম এবং হাজি মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১তম মেধা তালিকায় ভর্তি সুযোগ পেয়েছে। তবে তার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়ার ইচ্ছা। যাতে পড়াশোনা শেষ করে একজন বিচারক হতে পারে।

অদম্য মেধাবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দিনমজুর পরিবারে আর্থিক দৈন্যতার মধ্যেও কোনোদিন লেখাপড়ার বিষয়ে ফাঁকি দেননি। মনোযোগ দিয়ে চালিয়ে গেছেন তার লেখাপড়া। স্বপ্ন বুনেছেন পড়ালেখা শেষে বড় কিছু হয়ে পরিবারের অভাব-অনটন দূর করাসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার। আজ সেই স্বপ্ন দ্বার প্রান্তে। এখন স্বপ্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হওয়া এবং পড়াশোনা শেষে বিচারক হওয়ার।

ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি মোস্তাফিজুরকে এগিয়ে নিতে। তার এ অর্জনে কলেজ গর্বিত। তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনাসহ ভর্তির জন্য তাকে সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি।

বাবা খোরশেদ আলম বলেন, পরিবারের অভাবের জন্য ঠিকমতো ছেলের লেখাপড়ার খরচও দেওয়া সম্ভব হয়নি। ছেলেটা নিজের চেষ্টায় এতকিছু করেছে। গ্রামের লোকজন বলছে, ছেলে নাকি অনেক বড় জায়গায় লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু বড় জায়গায় পড়ার মতো তো আমার সামর্থ্য নেই। ভর্তির জন্য সরকার প্রধান, দেশের দানশীল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিবিশেষের কাছে সহযোগিতার অনুরোধ। যাগাযোগ—মোস্তাফিজুর রহমান: ০১৩৩৩-৮৯৭ ৩৭৭।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুটি বাঁধছেন বিজয়-কীর্তি

শিক্ষা ভবন অভিমুখে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা

বিপিএলে অংশ নিতে আয়োজকদের যে শর্ত দিল বরিশাল

সাত ইসরায়েলি বন্দি হস্তান্তর, মুক্তির অপেক্ষায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি

রাজধানীতে শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

সফল মানুষ অফিস শেষের ১০ মিনিটে যা করেন

কেন ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার পায় না বিপিএল, জানালেন ফারুক

দেশে স্বর্ণ ও রুপা বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড দামে

ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল বরখাস্ত

এক প্রেমিকা নিয়ে দুই প্রেমিকের সংঘর্ষ

১০

প্রযোজক রূপে তাসনিয়া ফারিণ

১১

জুবিনের মৃত্যুরহস্য, ন্যায়বিচার চেয়ে যা বললেন গরিমা

১২

নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ইসি কর্মকর্তা বরখাস্ত

১৩

তালাবদ্ধ দোকানে মিলল স্ত্রীর মরদেহ, পালিয়েছে স্বামী

১৪

ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি কার্যকর, বন্দিবিনিময় শুরু

১৫

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে ভারতীয় আগ্রাসন বাড়বে : এম এ মালিক

১৬

আজকে বিশ্ব ব্যর্থতা দিবস

১৭

ইলিশ নিয়ে নদীতে ঝাঁপ, ২৪ ঘণ্টা পরও যুবক নিখোঁজ

১৮

জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি বাংলাদেশ

১৯

ফিক্সিংয়ে জড়িতরা কি আগামী বিপিএল খেলবেন, যা জানা গেল

২০
X