বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক পর্যায়ে নয়, উন্নয়ন প্রকল্পেও দৃশ্যমান বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক।
তিনি বলেছেন, বর্তমানে কোরিয়ান সরকারের সহযোগিতা সংস্থা, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘কোরিয়াজ কারেন্ট সিচুয়েশন ইনক্লুডিং ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনশিপ উইথ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, শিক্ষা, প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এবং দক্ষ জনশক্তির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৫০-এর দশকে যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে উঠে এসে একটি আধুনিক, শিল্পোন্নত ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে।
পার্ক ইয়ং সিক বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার অগ্রগতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন। বাংলাদেশেও সেই সম্ভাবনা রয়েছে। এই দেশের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমী। আমি বিশ্বাস করি- কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়লে দুই দেশই উপকৃত হবে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। এ সময় তিনি বলেন, আমি আশা করি, আজকের এই সেমিনারের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা কোরিয়ার উন্নয়ন কৌশল, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারবে।
সেমিনারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা সমাপনী বক্তব্যে দক্ষিণ কোরিয়ার অগ্রগতিতে উচ্চশিক্ষা ও সুশাসনের অবদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন এবং তিনি এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতেও মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার বিকাশে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির ওপর জোর দেন।
সেমিনারে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফয়জার রহমান, নির্বাহী পরিচালক মো. শামীম আহসান পারভেজ, ক্যারিয়ার ও রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এএইচএম রহমতউল্লাহ ইমন, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডলসহ বিভিন্ন স্কুলের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূতের সফরসঙ্গী হিসেবে কোরিয়ান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা কুয়ুং-রে লি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন